আলফাডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা

আগের সংবাদ

নতুন মাথাব্যথা ‘হিজরত’! : আফগানিস্তানে তালেবান সাফল্যে উজ্জীবিত আইএস অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে সক্রিয়

পরের সংবাদ

রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি সীমাহীন!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

** নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনায় ২৮ মামলা ** কেনা-কাটায় ব্যাপক দুর্নীতি ** প্রায় ৮০ গুণ বেশি দাম এসিডের **
এন রায় রাজা : কোনোভাবেই থামছে না রেলের দুর্নীতি। নিয়োগ, ইঞ্জিন, যন্ত্রাংশ, পর্দা, চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে সেনিটাইজারসহ ওয়াশিং সামগ্রী কেনাকাটা, এমনকি চলমান প্রকল্পগুলোর কাজেও ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি চলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের অডিটর অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির কথা ওঠে আসে। রেলওয়ের ১০টি ইঞ্জিন কেনাসহ সম্প্রতি রেলের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে দুদকও তদন্ত চালাচ্ছে। এছাড়া রেলেওয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই।
অপরদিকে ট্রেনের টিকেট বিক্রি নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বহু পুরনো। বর্তমানে টিকেট বিক্রিতে হয়রানি, অনিয়ম চরমে উঠেছে। টিকেট বিক্রিতে ‘সহজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান বারবার চুক্তিভঙ্গ করেও বহাল তবিয়তে আছে। প্রতিষ্ঠানটির খুঁটির জোর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলপথ বিভাগের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। রেলেওয়ের একাধিক বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টেন্ডারের নিয়ম ভেঙে ‘সহজ’কে ট্রেনের ই-টিকেটের দায়িত্ব দেয়া হয়। চুক্তি ভঙ্গ করায় গত মঙ্গলবার রেলপথ বিভাগের বাণিজ্য বিভাগ থেকে চিঠি পাঠিয়ে ‘সহজের’ কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। এর আগে গত ঈদুল আজহার সময় টিকেট বিক্রিতে অনিয়মসহ ৬ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি আন্দোলন শুরু করেন। রনির আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রেলওয়ের তিন কর্মকর্তাকে তলব করে। দুদককে এ বিষয়ে খোঁজ নিতেও বলে। চলতি মাসের প্রথম দিকে রেলওয়ের তিন কর্মকর্তা হাইকোর্টের বেঞ্চে হাজির হন। তখন রেলের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলেন- রেলে এত অব্যবস্থাপনা থাকবে কেন? কেন টিকেট কালোবাজারি হবে? আপনারা কি রেলকে গ্রাস করতে চাইছেন? হাইকোর্টের এই তিরস্কার থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, রেলওয়ের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি কতটা বেড়েছে।
রেলওয়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যাপক দুর্নীতি হয় নিয়োগের ক্ষেত্রে। এক একটি পদের বিপরীতে ৭-১০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার তথ্য তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে, যা নিয়ে রেলওয়ের বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা করেছে নিয়োগ বঞ্চিতরা।
তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে- লিখিত পরীক্ষায় ১৩ পাওয়া প্রার্থীকে খাতায় নম্বর কেটে ৭৩ নম্বর লিখে দেয়া হয়, আবার ৯ পাওয়া প্রার্থীকে অর্থের বিনিময়ে ৮৯ নম্বর খাতায় লিখে দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়। এসবের বিরুদ্ধে চাকরি না পাওয়া প্রার্থীরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। সে কারণে ওই পদে নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন। এর ফলে লোকবল সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে একজন কম্পিউটার ডাটা অপারেটর ভুয়া নিয়োগ দিয়ে মাসের পর মাস বেতন ভাতা বাবদ ৭০-৭৫ লাখ টাকা আতসাৎ করেন। বর্তমানে তিনি হাজতবাস করছেন।
সম্প্রতি ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম ধরা পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হওয়া ১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কেনার বিষয়ে। এ অভিযোগ যাচাইয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ৩০ জুন রেল ভবনে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও উপসহকারী পরিচালক মো. কামিয়াব আফতাহি-উন-নবীর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান চালায়।
দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হওয়া ১০টি মিটার গেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কেনায় দুর্নীতি-অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানকালে টিম সচিব ও মহাপরিচালকসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। ট্রেনের ইঞ্জিন কেনার জন্য ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য

লোকোমোটিভ রিলিফ ক্রেন ও লোকোমোটিভ সিমুলেটর সংগ্রহ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফায় বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইঞ্জিনগুলোতে তিনটি ক্যাপিটাল কম্পোনেন্টের ভিন্নতা আছে, যা চুক্তিবহির্ভূত। চুক্তিতে তিন হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন দেয়ার কথা থাকলেও ২ হাজার হর্স পায়ারের ইঞ্জিন দেয়া হয়েছে, টিএ-১২ মডেলের অল্টারনেটরের পরিবর্তে টিএ-৯ মডেল যুক্ত করা হয়েছে, এছাড়া ২৯০৯-৯ মডেলের পরিবর্তে ২৯০৯ মডেল দেয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েকে ইঞ্জিনগুলো সরবরাহ করে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি। দাম ছিল ৩২২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এরই মধ্যে ৯০শতাংশ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সরকারের একটি সংস্থার প্রতিবেদন সূত্রে ওই অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগের তীর রেলওয়ের তখনকার মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী এবং ঠিকাদার আফসার বিশ্বাসের দিকে। ইঞ্জিনগুলো প্রাক-জাহাজীকরণের দায়িত্ব দেয়া হয় চায়না সার্টিফিকেট এন্ড ইন্সপেকশন কোম্পানিকে (সিসিআইসি)। ২০২০ সালের ২৫ জুলাই ইঞ্জিনগুলো প্রাক-জাহাজীকরণ সমীক্ষা (পিএসআই) সনদ ছাড়াই চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। সিসিআইসি ওই বছরের ১২ আগস্ট নিয়ম ভেঙে একই দিনে দুটি পিএসআই সনদ দেয়। ওই বছরের ৩১ আগস্ট ইঞ্জিনগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে এলে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই খালাস করতে প্রকল্প পরিচালককে বাধ্য করা হয়। ইঞ্জিনগুলোতে নিম্নমানের ক্যাপিটাল কম্পোনেন্ট সংযোগ করার বিষয়টি সিসিআইসি ও হুন্দাই রোটেম গোপন রাখে।
আবার কমিশনিং কমিটির প্রতিবেদনে ইঞ্জিনগুলোর বিভিন্ন ত্রæটির বিষয় তুলে ধরা হলেও ‘পারফরম্যান্স সন্তোষজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া রাজধানীর কমলাপুর ওয়ার্কশপে ইঞ্জিন মেরামতের যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে প্রচলিত বাজারমূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বেশি দামে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অডিটেই উঠে আসে অনিয়মের এমন চিত্র। সদ্য সমাপ্ত রেলওয়ের অডিট বলছে, ২০২১ সালে কমলাপুর ওয়ার্কশপের ডিজেল বিভাগের কর্ম ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ কিনেছেন ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দামে। অডিটের কাগজপত্রে দেখা যায়, ট্রেনের জন্য ক্রয়কৃত গ্যাজব্রেক সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ২ হাজার ৮৬০ টাকা, কিন্তু রেলওয়ে সেটির দাম ধরেছে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা, গ্যাজ ভ্যাকুয়ামের সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ১ হাজার ৮২০ টাকা, কিন্তু রেলওয়ে সেটির দাম দেখিয়েছে ২২ হাজার ৪৯০ টাকা। এ ছাড়া একটি সানবার রিংয়ের সর্বোচ্চ বাজারমূল্য ৫৮৫ টাকা, কিন্তু রেলওয়ে সেটির জন্য খরচ দেখিয়েছে দুই হাজার ৬৮৫ টাকা।
অন্যদিকে, একটি সানবার স্প্রিংয়ের দাম মাত্র ৪৫ টাকা অথচ রেলওয়ে এটি কিনতে খরচ দেখিয়েছে ৯১৮ টাকা। এভাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে মাত্র দেড় লাখ টাকা মূল্যের মালামাল কিনতে দাম দেখানো হয়েছে ১২ লাখ টাকা! এ বিষয়ে কেনাকাটার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জিঞ্জেস করেন। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রাশেদুল ইসলাম এখন কর্ম ব্যবস্থাপক (প্রকল্প) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন রেল ভবনে। ট্রেনের লোকমোটিভের ব্যাটারি সচল রাখতে এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রচুর সালফিউরিক অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়। গত দুই বছরে ৮০০ লিটার সালফিউরিক অ্যাসিড কেনার দাবি করেছেন রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী রেজাউল করিম। প্রতি লিটার সালফিউরিক অ্যাসিড কেনা হয়েছে ১৯৯৭ টাকা দরে। অথচ, বাজারে সালফিউরিক অ্যাসিডের লিটার মাত্র ২০-২৫ টাকা। অর্থাৎ বাজার দরের চেয়ে প্রায় ৮০ গুণ বেশি দামে অ্যাসিড কিনেছে রেলওয়ে! বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রথম ঢেউয়ে সুরক্ষা সামগ্রী কেনা কাটায় দুর্নীতির ঘটনায় রেলওয়ের পুর্বাঞ্চলের ২৯ কর্মকর্তার অনিয়মে জড়িত থেকে অতিরিক্ত সরকারি অর্থ খরচ করার প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। তবে অপরাধের মাত্রা বেশি হওয়ায় ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিল-মেতে কেনাকাটায় ৭৭৫ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ টাকার থার্মোমিটার ১২ হাজার ৩০০ টাকা, আট টাকার গøাভস ৩২ টাকায়, ১০ টাকার মিনি সাবান ২৫ টাকায়, ১২০ টাকা কেজির ডিটারজেন্ট ১৮৮ টাকায়, ১২০ টাকা কেজির ব্লিচিং পাউডার ১৯৩ টাকায়, ১৩০ টাকার হেক্সিসল ৩৮৪ টাকায়, ১২০ টাকার প্লাস্টিক চশমা ৩৯৭ টাকায়, ১৫০ থেকে ৪০০ টাকার চীনের তৈরি কেএন-৯৫ মাস্ক ৭২৭ টাকায় এবং ট্রলি ও ফ্লুমিটারসহ প্রতিটি অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয় ৪১ হাজার টাকায়। কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো এবং প্রতিযোগিতামূলক দর পাওয়া যেত। এক্ষেত্রে তা না করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে।
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, নিম্নমানের সেবার বিষয়গুলো নতুন কিছু নয়। যুগের পর যুগ ধরে এসব চলে আসছে। বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা এ খাতে বরাদ্দ ও ব্যয় করা হলেও ন্যূনতম উন্নতি দেখা যায় না। মনে হয়, অর্থ বরাদ্দ দেয়াই হয় একটি চক্রের লুটপাটের জন্য। এছাড়া রেলওয়েতে এযাবৎ শেষ হওয়া চলমান প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রকল্পের মেয়াদ ও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে কয়েকবার। যার ফলে ব্যাপক দুর্নীতির সুযোগ ঘটেছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে। এদিকে বিভিন্ন মেরামতকাজ, রেললাইন মেরামত, লাইনে পাথর সরবরাহ, ঠিকাদার নিয়োগ, প্রকল্পের মালামাল কেনা, নি¤œমানের মালামাল দিয়ে কাজ করাসহ নানাবিধ দুর্নীতি চলেছে প্রকল্পগুলোতে। যার ফলে অনেক প্রকল্পের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্ল্যানিং কমিশনের অডিট ও রেলওয়ের তদন্ত বিভাগ।
এবিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আমি কোনো অনিয়ম সহ্য করবো না। করোনা সুরক্ষা সামগ্রী কেনা কাটায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রিপোর্টও পেয়েছি। এসব নথিপত্র গায়েব হতে পারে না। আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। নথি গায়েব হলে সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আর যদি সত্যি সত্যিই কেউ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করবো না, সব বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে, প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসব অনিয়মের বিষয়ে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এস এম নাজের হোছাইন বলেন, দুর্নীতির লাগাম টানতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী একথা যেমন সত্য, দুর্নীতির মাত্রা দিনকে দিন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে এটাও সত্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়