আলফাডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা

আগের সংবাদ

নতুন মাথাব্যথা ‘হিজরত’! : আফগানিস্তানে তালেবান সাফল্যে উজ্জীবিত আইএস অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে সক্রিয়

পরের সংবাদ

যুবরাজ সালমান সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার ছেলে ও উত্তরসূরি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম ঘোষণা করেছেন। তার আরেক ছেলে প্রিন্স খালিদকে বানানো হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গত মঙ্গলবার এক রাজকীয় আদেশে এসব জানানো হয়েছে। রয়টার্স।
দেশটির মন্ত্রিসভায় এ রদবদলে বাদশাহর আরেক পুত্র যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সালমান জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবেই বহাল আছেন। বদলায়নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহর দপ্তরও।
৩৭ বছর বয়সি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘এমবিএস’ হিসেবেও পরিচিত। এতদিন তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে তিনি অর্থ, তেল এবং স্বরাষ্ট্রসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিই এখন বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশটির ‘ডি-ফ্যাক্টো’ শাসক। তার ছোট ভাই প্রিন্স খালিদ বিন সালমান এর আগে ছিলেন উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী।
আড়াই বছর ক্রাউন প্রিন্স থাকা সালমান ২০১৫ সালে সৌদি আরবের শাসক হন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র হিসেবে গণ্য হওয়া একাধিক স্থাপনার জিম্মাদার, ৮৬ বছর বয়সি এ বাদশা গত দুই বছরে বেশ কয়েকবারই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অতীতে সৌদি আরবে সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের কাছে রাখতেন বাদশাহ। ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে ধীরে হলেও পোক্তভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর অব্যাহত রেখেছেন বাদশাহ সালমান। মঙ্গলবারের রাজকীয় আদেশে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, বাদশাহ রাষ্ট্রপ্রধান থাকছেন। মন্ত্রিসভায় উপস্থিত থাকলে তিনিই সভাপতিত্ব করবেন।
২০১৭ সালে ক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে আসা প্রিন্স মোহাম্মদ অতিমাত্রায় তেল নির্ভরশীল সৌদি অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন। নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি, সমাজে মোল্লাদের প্রভাব কমিয়ে আনাসহ তার নানা পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের গোঁড়া রক্ষণশীল দেশটিকে অনেক বদলে দিয়েছে। এসব সংস্কারের পাশাপাশি ভিন্নমতের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন, রাজপরিবারের অনেক সদস্য, অ্যাক্টিভিস্ট, নারী অধিকার কর্মী ও ব্যবসায়ীদের জেলে পুরে সমালোচনাও কুড়িয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনা এমবিএসের ভাবমূর্তিতে অমোচনীয় দাগ লাগিয়ে দেয়। ওই ঘটনা সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়