আলফাডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা

আগের সংবাদ

নতুন মাথাব্যথা ‘হিজরত’! : আফগানিস্তানে তালেবান সাফল্যে উজ্জীবিত আইএস অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে সক্রিয়

পরের সংবাদ

মানবতাবিরোধী অপরাধ : খলিলুর গ্রেপ্তার, ব্যবহার করতেন না ফোন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি মো. খলিলুর রহমান (৬৮) দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে ধরা পড়লেন র‌্যাবের জালে। গত মঙ্গলবার ঢাকার অদূরে সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি তিনি। গ্রেপ্তার এড়াতে খলিলুর রহমান নিয়মিত বাসা পরিবর্তন ও একা বসবাস শুরু করেন। ব্যবহার করতেন না মোবাইল ফোনও। মাঝে মাঝে গোপনে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেন।
মামলায় অভিযোগ গঠনের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র?্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র?্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র?্যাবের মুখপাত্র মঈন বলেন, ১৯৭১ সালে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নের আল বদর বাহিনীতে কমান্ডার হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধবংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যায় জড়িত ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, ১ জনকে ধর্ষণ, ১ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত ৪ জনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরো বলেন, এরই আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর ৯ নম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি মো. খলিলুর রহমানসহ তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই এলাকার আশক আলী, শাহনেওয়াজ ও রমজান আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ধ্বংস করা, ধর্ষণ এবং ধর্ষণের চেষ্টার পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। চলতি বছরেরর ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে পলাতক খলিলুর রহমানসহ ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে ১০ বছরের সাজার রায় দেন। তবে এরই মধ্যে বিচারকালীন সময়ে ৪ জন আসামি মারা যান। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৪ সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৫ সালে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক। ২০১৭ সালে উক্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গৃহীত হলে আত্মগোপনে চলে গিয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেন তিনি। আত্মগোপনে থাকাকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করাসহ একাকী অবস্থান করতেন। এ সময় যোগাযোগের জন্য তিনি কোন ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। তার সন্তানরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য তারা নিয়মিত অর্থ দিত। মামলার রায় ঘোষণার পর খলিলুর রহমান তার অবস্থান নিরাপদ নয় ভেবে স্থান পরিবর্তন করে সাভারে আত্মগোপন করে। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‌্যাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়