আলফাডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভা

আগের সংবাদ

নতুন মাথাব্যথা ‘হিজরত’! : আফগানিস্তানে তালেবান সাফল্যে উজ্জীবিত আইএস অনুসারী আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশে সক্রিয়

পরের সংবাদ

থানায় জিডি করার তিক্ত অভিজ্ঞতা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বেশি দিনের কথা নয়, রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় একটি হারানো বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ডিউটি অফিসার সম্ভবত অমলেস বাবু নামীয় আমার জিডির আবেদনটি দেখে অন্য থানায় যেতে বলেন। ঘটনাটি সূত্রাপুর থানার আওতায় হওয়ার পরও তিনি শেষ পর্যন্ত জিডি নিলেন না। উনি ডায়েরিটি করতে না চাইলে আমি সূত্রাপুর থানা কোন ডিএমপি ডিসি অফিসের আওতায় জানতে চাইলে উনি এবার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ওসি সাহেবের রুমে নিয়ে বলেন, আমি নাকি ডিসি সাহেবের ভয় দেখিয়েছি। এ কথা শুনে এবার ওসি সাহেব রাগারাগি করেন। সাধারণ মানুষের জন্য থানায় জিডি করা কত যে হয়রানি ও বিড়ম্বনা এটা সেদিন সূত্রাপুর থানায় গিয়ে অনুভব করার শিক্ষা গ্রহণ করেছি। ওসি সাহেবের দুর্ব্যবহারে রাগ ও ক্ষোভ নিয়ে সেই আবেদনপত্রটি নিয়ে সরাসরি এডিসির (লালবাগ) কাছে অভিযোগ করলে এবার উল্টো ওসি সাহেব মোবাইলে এডিসি সাহেবকে আমার বিরুদ্ধে মনে হলো অনেক অসত্য মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরলেন। যাহোক, শেষ পর্যন্ত এডিসি সাহেবের নির্দেশে জিডি গ্রহণ করতে সূত্রাপুর থানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়। সূত্রাপুর থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়ে আমার মতো সচেতন ব্যক্তিকে কি না হেনস্তা করা হয়েছে আর সাধারণ ও নিরীহ লোকদের ব্যাপারে আরো কত না হয়রানি করা হয় থানায় থানায়। থানাগুলোতে সেবার পরিবর্তে অহেতুক হয়রানি ও বিড়ম্বনা, যা ভাষায় প্রকাশ করা দুস্কর। সূত্রাপুর থানায় গিয়ে বুঝতে পেরেছি থানা-পুলিশের ব্যবহার কত নির্মম ও অমানবিক। সূত্রাপুর থানায় ওসি সাহেবের ব্যবহার দেখে আমি হতবাক। দেশের প্রায়ই থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের দুর্ব্যবহারে সেবাপ্রাপ্তিরা অতিষ্ঠ। থানাগুলোর মিথ্যা ও বানোয়াট কথাবার্তার সংস্কৃতি পরিহার করা খুবই জরুরি। সেখানে সেবা তো দূরের কথা দিন দিন জনদুর্ভোগ বেড়েই যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ পুলিশের বিসিএস অফিসারদের কাছে এখনো ভালো ব্যবহার পাওয়াতে জনগণ ও সেবা প্রাপ্তিরা সন্তুষ্ট ও খুশি। প্রধানমন্ত্রীও সবসময় পুলিশকে নিরপরাধ মানুষকে অযথা হয়রানি না করে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে নির্দেশ দেন। সেবা প্রার্থীরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানি, ভোগান্তি, হেনস্তা, দুর্ভোগের শিকার না হয় সেজন্যে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পুলিশকে কাজ করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শুধু জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসার পাশাপাশি এক শ্রেণির পুলিশের বাড়াবাড়ির অভিযোগ তুলে ধরে বলেন সেগুলোকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়ার কোনো অবকাশ নেই। ফলে পুলিশ বাহিনীর কতিপয় সদস্যের অসাধুতার দায়ভারও বহন করতে হয় গোটা পুলিশ বাহিনীকে। প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, পুলিশের জন্য আজ গুরুত্বপূর্ণ একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুলিশের ভাবমূর্তি সংকট কেটে ওঠা। এটা যথার্থ সত্য এবং বাস্তব। তবে সূত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়ে আমার সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার হয়রানি, হেনস্তা, অপদস্ত ও অভদ্র আচরণ করা হয়েছে তার একটি নয় দুটি পুলিশ কর্তৃক তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা হলেও আজ অব্দি তার কোনো খবর নেই। ভবিষ্যতে আর কারো সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করা না হয় সেজন্য বিষয়টির একটি বিচার হওয়া দরকার ছিল। গোটা ব্যাপারটি পুনঃতদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী : লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী
১৭, ফরিদাবাদ-গেণ্ডারিয়া, ঢাকা।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়