সোনারগাঁওয়ে দলিল লিখককে হত্যা স্ত্রী আটক

আগের সংবাদ

জন্মদিনের শুভেচ্ছা : জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার

পরের সংবাদ

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত : শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৮তম শাহাদত বার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজসেবক ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী জাতীয় বীর শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৮তম শাহাদতবার্ষিকী আজ ২৭ সেপ্টেম্বর।
১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে ২২ দল হরতাল আহ্বান করে। ওইদিন গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণতন্ত্র প্র্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিছিলে ময়েজউদ্দিন নেতৃত্ব দেন। ওই সময় কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
দিবসটি উপলক্ষে কালীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে শহীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে শহীদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতিস্তম্ভে¢ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সাড়ে ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং দরিদ্র ভোজ। দুপুর দুপুর ১টায় শহীদের নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়া স্কুল মাঠে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ। বিকাল ৪টায় পৌর এলাকার দেওপাড়ায় শহীদ ময়েজউদ্দিন ফেরিঘাটে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ। বাদ মাগরিব শহীদ ময়েজউদ্দিন কল্যাণ ট্রাস্টে মিলাদ, দোয়া ও তবারক বিতরণ। অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে উপজেলার পৌরসভা, সব ইউনিয়ন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দেওপাড়ায় শহীদ ময়েজউদ্দিন ফেরিঘাট ঈদগাঁ মাঠে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-কালীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদাস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেডক্রস (বর্তমানে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট) সোসাইটির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। একাধারে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির (এফপিএবি) মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ ময়েজউদ্দিনের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে গড়ে উঠা প্রবল গণআন্দোলনে অবশেষে সামরিক শাসক ও শাসনের পতন ঘটে। গণতন্ত্রের জয় হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা পালন করায় সরকার তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘স্বাধীনতা পদক’-এ ভূষিত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়