সোনারগাঁওয়ে দলিল লিখককে হত্যা স্ত্রী আটক

আগের সংবাদ

জন্মদিনের শুভেচ্ছা : জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার

পরের সংবাদ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : চাকরিতে নিয়োগে ডোপ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকাসক্তরা যেন পুলিশে ঢুকতে না পারে, সে জন্য নিয়োগের আগেই ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডোপ টেস্ট করে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ বিষয়ে এক গোলটেবিল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশে যারা মাদক নেয় তাদের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে তাকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। এই জায়গাটায় আমরা খুব কঠিন অবস্থানে চলে এসেছি। চাকরির শুরুতে যারা নির্বাচিত হবে, তাদের ডোপ টেস্ট করার প্রচলন পুরোপুরি নিতে যাচ্ছি। পুলিশ-বিজিবি সব জায়গায় ডোপ টেস্টের প্রচলন রয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হচ্ছে কিনা, সেখানেও মনে হলে আমরা ডোপ টেস্ট করব। সব চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মাদক কেনাবেচায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জড়িয়ে পড়ার বিষয়টিও উঠে আসে তার বক্তব্যে। তিনি বলেন, জেলখানায় মাদকের মামলায় পুলিশের সদস্য যেমন আছে, র?্যাবের সদস্যও আছে, তেমন অন্য ব্যবসায়ীরাও রয়েছে। পুলিশ বলে যে তার জন্য আইন আলাদা হবে- বিষয়টি এমন নয়। কারাগারে বন্দিদের সিংহভাগই মাদক মামলার আসামি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কারাগারে বন্দির সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে এক লাখের মতো। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই মাদক বিক্রেতা।
মাদক মামলায় বিচারের জটিলতা নিয়েও আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিচারের সময় সাক্ষী পাওয়া যায় না। আর আমাদের লম্বা জট লেগে আছে মামলার। সেখানে এই মাদক মামলা হারিয়ে যায়। আমরা চেয়েছিলাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। যদিও আমরা সেটা এখনো পাইনি। যদি শাস্তিটা দৃশ্যমান হতো, তাহলে ডিমান্ড হ্রাস ও সরবরাহ কমে যেত। মাদকের সরবরাহ কমাতে বিজিবি, কোস্টগার্ডের সক্ষমতা ও জনবল বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্ডারে আমরা এখন অনেক কিছু করছি। টেকনাফে নাফ নদীর যে বর্ডার তা দুর্গম। সেখানে বিওপি থেকে বিওপি যেতে সময় লাগে। আমরা সেন্সর লাগাচ্ছি সমস্ত বর্ডারে। হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করছি, যাতে মাদকের সরবরাহ বন্ধ করা সম্ভব হয়।
মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা নাকি সবচেয়ে বেশি মাদক গ্রহণ করেন। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই। চিকিৎসক, সাংবাদিক, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশার মধ্যেও মাদকসেবী আছে। চিকিৎসকরা মাদক নেবে না এমন তো কথা নেই। তারা তো আলাদা জাতি না। দু-একজন পথভ্রষ্ট হতে পারে। অসাধু লোক সব জায়গাতেই আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হেরোইন উদ্ধারের পর নাকি পরীক্ষায় পাউডার হয়ে যায়। কারণ শুধু পোর্টে কিংবা পুলিশে নয়, সব জায়গাতেই খারাপ মানুষ আছে। সীমান্তেও অনেকে চোখ বন্ধ করে আছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়