সোনারগাঁওয়ে দলিল লিখককে হত্যা স্ত্রী আটক

আগের সংবাদ

জন্মদিনের শুভেচ্ছা : জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার

পরের সংবাদ

স্থপতি ইনস্টিটিউটের সংবাদ সম্মেলন : সবার আবাসন নিশ্চিত করে এফআর নির্ধারণের দাবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডিটেইলস এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রাক্কলিত জনসংখ্যা, প্রস্তাবিত উন্নয়ন এবং সাম্যতার ভিত্তিতে সবার আবাসন নিশ্চিত করেই কেবল এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব ও এফআর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।
আলোচনায় মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ স্থাপতি ইনস্টিটিউটের ড্যাপবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের কনভেনর স্থপতি ইকবাল হাবিব। আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী আউয়াল, রিহ্যাব প্রতিনিধি সোহেল রানা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম, ডিএনসিসি ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশীদ জনি।
ইনস্টিটিউটের পক্ষে দাবি তুলে ধরে ইকবাল হাবিব বলেন, ড্যাপে প্রস্তাবিত উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানের উৎস, সংশ্লিষ্ট উদ্যোগী সংস্থার দায়বদ্ধতা ও বাস্তবায়ন সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক নয় বরং কারিগরি দক্ষ জনবলভিত্তিক কাঠামো পুনর্গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, কৃষি জমিতে কোনো ধরনের শর্তসাপেক্ষে উন্নয়ন বা ভূমি ব্যবহার পরিবর্তনের সুযোগ সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। সে সঙ্গে বন্যা প্রবাহ অঞ্চল এবং নদী কমিশন চিহ্নিত ৬৪টি খালসহ সব জলাধার সংরক্ষণ এবং এর উন্নয়নে জিরো টলারেন্স নীতিমালা নিশ্চিত করতে হবে।
ইকবাল হাবিব আরো বলেন, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট মনে করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) তার বর্তমান কাঠামোর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার মতো বহুমাত্রিক ও কারিগরি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামর্থ্যবান নয়। আর এজন্য দ্রুতই রাজউককে পেশাজীবী নেতৃত্বে পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাস করে কিংবা পেশাজীবীনির্ভর একটি ভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে এ পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ঢাকা শহরে এখন যারা আছেন তারাই যেন সুস্থ সুন্দরভাবে নিরাপদে সব নাগরিক সুবিধাসহ থাকতে পারেন প্রথমে সে ব্যবস্থাই করতে হবে। ঢাকায় মানুষ প্রবেশ আমরা বন্ধ করতে পারছি না, তাই সেবার পরিধি, ব্যবস্থা সেভাবেই করতে হবে। শহরের বর্তমান অপ্রতুল অবকাঠামো এবং সেবা সরবরাহ লাইনকে টেকসই বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নতর ও স¤প্রসারিত করে সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমেই মানসম্পন্ন আবাসন সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।
স্থপতি ইনস্টিটিউটের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ড্যাপ অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা কমালে ঢাকায় যে সংখ্যক মানুষ থাকবে তাতে সেসব মানুষের জন্যই বাসস্থান নিশ্চিত করা যাবে না। ঢাকা শহর থেকে মানুষ বের করে দিতে হবে। এফএআর নির্ধারণের ক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হয়েছে উল্লেখ করে এতে আরো বলা হয়, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে গড়ে ওঠা এলাকায় এফএআর বেশি দেয়া হয়েছে। আর স্বতঃস্ফূর্ত গড়ে ওঠা এলাকায় এফএআর কম দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলে অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়।
এদিকে স্থপতি ইনস্টিটিউটের অভিযোগ প্রসঙ্গে ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক ও রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আইএবি থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, প্রণীত ড্যাপ বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহর থেকে ৪০ ভাগ মানুষকে চলে যেতে হবে। তাদের এ তথ্য সঠিক নয়। প্রকৃত সত্য হলো রাজউক আওতাধীন এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিবিএস ২০১১ অনুযায়ী জনসংখ্যা ১৫ দশমিক ৫১ মিলিয়ন বা দেড় কোটি বর্তমানে যা প্রায় দুই কোটি এবং ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রক্ষেপিত জনসংখ্যা ধরা হয়েছে দুই কোটি ৬০ লাখ, যা কোনোভাবেই কম তো নয়ই বরং ৬০ লাখ অতিরিক্ত ঢাকা শহরে অভিগমন বা সংযোজন হবে। সুতরাং বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকা থেকে ৪০ ভাগ মানুষকে বের হয়ে যেতে হবে এরকম তথ্য একেবারেই সত্য নয় বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাধারণ মানুষকে উসকানি দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়