সোনারগাঁওয়ে দলিল লিখককে হত্যা স্ত্রী আটক

আগের সংবাদ

জন্মদিনের শুভেচ্ছা : জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার

পরের সংবাদ

পলাশবাড়ীতে ভেড়ার খামারে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. শাহরিয়ার কবির আকন্দ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) থেকে : পলাশবাড়ী উপজেলার গ্রামগঞ্জে গড়ে উঠেছে দেশি-বিদেশি জাতের ভেড়ার খামার। এসব খামার করে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।
উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চকবালা গ্রামের আকালু-সাদেকা দম্পতি ৫ বছর আগে ১০টি বাচ্চা ভেড়া পালন শুরু করেন। আজ তার খামারে ভেড়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শতাধিক।
আকালু-সাদেকা দম্পতির মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী-পুরুষেরা ভেড়ার খামার করে পরিবারের বাড়তি আয়ের জোগান দিচ্ছেন। শিক্ষিত বেকার তরুণেরাও বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে গড়ে তুলেছেন ভেড়ার খামার। তারা বেকারত্ব দূর করে নিজেরা যেমন স্বাবলন্বী হচ্ছেন পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখছেন।
অন?্য প্রাণীর চেয়ে এই প্রাণী লালন-পালনে খরচ ও রোগব্যাধি কম হওয়ায় ক্রমেই মানুষ এর খামারের দিকে ঝুঁকছে। আগে শুধু গরু বা ছাগল পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন নতুনত্ব ও সৃষ্টিশীল চিন্তা নিয়ে গ্রামগঞ্জের মানুষেরা নানান কিছু লালন-পালন করছেন।
বর্তমানে পলাশবাড়ী উপজেলায় গড়ে উঠেছে অনেক ভেড়ার খামার। তুলনামূলক কম পুঁজিতে গড়ে তোলা ৪০ থেকে ৫০টি ভাড়ার খামারে বছরে আয় হয় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। দেশে ভেড়ার মাংসের ব?্যাপক চাহিদা না থাকলেও বিদেশে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা।
ভেড়ার খামারি আকালু-সাদেকা দম্পতি জানান, আমরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। বাড়ির মাত্র তিন শতাংশ জমিতে এই ভেড়ার খামার দিয়েছি। পুঁজির অভাবে খামার বৃদ্ধি করতে পারছি না। সরকারি-বেসরকারি ব?্যাংক থেকে যদি সহজ শর্তে ঋণ পায় তাহলে আরো বেশি সফলতা আসবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, পলাশবাড়ী উপজেলায় অজস্র ভেড়া-ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে। ভেড়া পালনের সুবিধা অনেক। খুব অল্পসংখ্যক খাদ্য হলেই এদের চলে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক ভেড়া ২০ থেকে ২৫ কেজি হতে পারে। প্রতিটি ভেড়া থেকে ১ থেকে ১.৫ কেজি পশম পাওয়া যায়। যা দিয়ে উন্নতমানের শীতবস্ত্র নির্মাণ করা যায়। ভেড়া শতকরা ১২ ভাগ বাড়, যা গরু ছাগলও এত দ্রুত বাড়ে না। এদের বাসস্থানের খরচও কম। নরম, রসাল ও সুস্বাদু ভেড়ার মাংসে আমিষের পরিমাণ গরু ও ছাগলের চেয়ে বেশি। বাণিজিকভাবে গারোল প্রজাতির ভেড়া পালন বেশ লাভজনক।
এছাড়া শিক্ষিতরা যদি বেকার বসে না থেকে খামার করে নিজে তহালে স্বাবলম্বী হবেন ও অন?্যদের চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও আসবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়