সোনারগাঁওয়ে দলিল লিখককে হত্যা স্ত্রী আটক

আগের সংবাদ

জন্মদিনের শুভেচ্ছা : জননেত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার

পরের সংবাদ

কালীগঞ্জে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন এক ব্যক্তি!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি : কালীগঞ্জে মো. ইয়াহিয়া রহমান নামে এক প্রধান শিক্ষক একই সঙ্গে কলেজ ও স্কুলে চাকরি করছেন। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইশোরকোল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া রহমান একই সঙ্গে উত্তর বাংলা কলেজের ক্যাশিয়ার পদে প্রায় ২৬ বছর ধরে চাকরি করছেন।
২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিষয়টি লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এর অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে। ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করা হয় (স্মারক নং-জেশিঅ/লাল/২০১৮/৬৬৮)। কিন্তু গত ৪ বছরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় গত জুলাই মাসে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে আবারো একটি চিঠি ইস্যু করেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফরোজা বেগম জানান, ফাইলে অভিযোগের সংযুক্ত কপি পাওয়া যায়নি। তাই তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। ওই শিক্ষককের দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরির বিষয়টি জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ক-৩) মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত ২০১০ সালের ২৮ নভেম্বরের বিজ্ঞপ্তির ৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানে (এমপিওভুক্ত বা এমপিওবিহীন যে কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান) চাকরিরত থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে উভয় প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন। জানতে চাইলে ইয়াহিয়া রহমান বলেন, ‘এটা ডিও স্যার জানে, সবাই জানে। উপজেলা টিএনও স্যার জানে, শিক্ষা আফিসার জানে। বিষয়টা হলো যে একটা লোক যদি একাধিক জায়গায় শ্রম দিতে চায় সমস্যা নেই কিন্তু বেতন দুই জায়গায় সে খাইতে পারবে না।’ উত্তর বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার বলেন, ইয়াহিয়া অন্য কোথাও চাকরি করে কিনা আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অফিস চলাকালে অন্য কোথাও চাকরি করার কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়