সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীরীতি রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে সবাইকে

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, এখনো নিখোঁজ অন্তত ২৭ : মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

পরের সংবাদ

বাড়ছে চোখ ওঠা রোগী : সচেতন হবার পরামর্শ চিকিৎসকদের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সেবিকা দেবনাথ : রাস্তা-ঘাট কিংবা অফিসে হঠাৎ করেই বেড়েছে কালো চশমা পড়ে থাকা মানুষের সংখ্যা। ফ্যাশন সচেতন হয়ে তারা এমনটা করছেন, তা কিন্তু নয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা কালো চশমা পড়ছেন। কারণ দেশে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আর অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগে এমনকি ফার্মেসিগুলোতেও এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভিড় করছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, চোখের একেবারে বাইরের স্বচ্ছ অংশটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘কনজাংকটিভা’। ভাইরাসের সংক্রমণে সেখানে প্রদাহ তৈরি হলে চোখের ছোট ছোট রক্তনালি ফুলে যায়। এ কারণেই চোখের রঙ লালচে হয়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হয়। তবে চোখ ওঠা নামেই এই রোগটি বেশি পরিচিত।
এদিকে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। করোনার কারণেও চোখের সমস্যা দেখা দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এর আগে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, প্রায় ১১ শতাংশ রোগীরই করোনার কারণে চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাদের অনেকেরই লাল চোখ, চোখে চুলকানি, জ্বালা ভাব, চোখে জল জমা ও ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা গিয়েছে। করোনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। ফলে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
তবে দেশের চক্ষু চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাই সচেতন হবার পরামর্শ তাদের।
এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলজির (এপিএও) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আভা হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, চোখ ওঠা রোগকে আমরা ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস বলে থাকি। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। তবে গরমে এবং বৃষ্টিতে এই রোগ বেশি হয়। ঋতু পরিবর্তনের ফলে এই ভাইরাল ইনফেকশন হয়।
এ প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, করোনার কারণেই চোখ ওঠা রোগী বাড়ছে এমনটি নয়। তবে চোখ ওঠাও ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক ব্যাধি। আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শে এবং ব্যবহার্য জিনিস যেমন- রুমাল, তোয়ালে, টিস্যু ব্যবহার করলে অন্যরাও এতে আক্রান্ত হয়। এছাড়া এই ভাইরাসটি বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশে যারা থাকে, তারাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
চোখ ওঠার লক্ষণ এবং প্রতিকার প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ ওঠলে চোখ লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়, পানি পড়ে, রোদে তাকালে জ্বালা করে, চুলকায় ও আঠা আঠা হয়ে থাকে। তবে সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই এই রোগ সেরে যায়। তবে জটিল রূপ ধারণ করলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে চোখের ড্রপ ও অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়