সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীরীতি রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে সবাইকে

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, এখনো নিখোঁজ অন্তত ২৭ : মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

পরের সংবাদ

নেপাল বধে প্রস্তুত জামালরা : ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কম্বোডিয়াকে হারানোর পর ফিফা উইন্ডোর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে এবার নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। কলম্বোর দশরথ আন্তুর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগামীকাল মুখোমুখি হবে দু’দল।
বাংলাদেশ ও নেপালের এটি হবে ২৪তম মোকাবিলা। আগের ২৩ বারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশ জিতেছে ১৩ বার, নেপাল জিতেছে ৭ বার এবং ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। দুই দলের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল গত বছর অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এদিকে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে গতকাল কঠোর অনুশীলন করেছে জামাল বাহিনী। বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত মাঠে ঘাম ঝরান ফুটবলাররা।
কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের সবশেষ স্মৃতি সুখের নয় মোটেও। তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। আসন্ন প্রীতি ম্যাচে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে মুখিয়ে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ১৫ ঘণ্টার ভ্রমণক্লান্তি দূর করে গত শনিবার দশরথের পাশে আর্মি হেডকোয়াটার মাঠে প্রস্তুতি নিয়েছে দল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় কোচ কাবরেরা জানিয়েছেন, নেপালের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টার কথা। তিনি জানান, কম্বোডিয়া থেকে নেপালে আসার ১৫ ঘণ্টার ভ্রমণ সহজ নয়, ছেলেরা অবশ্যই ওই ম্যাচের এবং ভ্রমণের পর ক্লান্ত। এখানকার আবহাওয়া ভালো, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ভারি বৃষ্টির কারণে মাঠের কন্ডিশন খুবই খারাপ।
আমরা এর সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। রিকভারির দিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, যাতে করে খেলোয়াড়রা নেপালের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
বাংলাদেশ কোচ হিসেবে কম্বোডিয়া ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছেন কাবরেরা। ওই জয় ভুলে তিনি এখন মনোযোগী নেপাল ম্যাচের ছকে, আমরা জানতাম কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ কঠিন হবে। শুরুর ১০-১৫ মিনিট খুবই কঠিন ছিল। তবে ছেলেরা আধিপত্য করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য ছিলাম। ওরা বল পেয়েছে, কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেনি। আমাদের লক্ষ্য ছিল সেখানে জেতা, সেটা করতে পেরেছি। আমি খুশি। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়, এখন আমাদের নতুন লক্ষ্য নেপাল ম্যাচ।
এদিকে ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন, নেপালকে এবার হারাতে চান তাদের মাঠেই। কদিন আগে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে শিরোপা উৎসব করেছে বাংলাদেশ। মেয়েদের জয় থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়ার কথা জানালেন তিনি, মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এটা আসলে আমাদের জন্য গর্বের। আমাদের দেশের জন্য বড় একটা পাওয়া।
আমরাও প্রথম থেকে বলে আসছি, এই দুই ম্যাচ জেতার জন্য খেলব। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে জিততে পেরেছি, যেহেতু আমরা প্রথম ম্যাচ জিততে পেরেছি, আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক উঁচুতে। পরের ম্যাচ নেপালের সঙ্গে, আমরাও চাই তাদের বিপক্ষে জিততে। জয়ের জন্যই আমরা খেলব। তিনি যোগ করেন, (কাঠমান্ডুতে) সবশেষ দেখায় আমরা নেপালের কাছে হেরেছি, কিন্তু এবার আমরা সবাই একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করছি। অনেক অনুশীলন করেছি, কষ্ট করেছি, তাই আশা করছি এবার আমরা ওদেরকে ওদের মাঠেই হারিয়ে যাব। এখানকার আবহাওয়া ভালো, দলের সবাইও ভালো আছে। সবাই মনপ্রাণ দিয়ে অনুশীলন করছে, যাতে করে পরের ম্যাচও আমরা জিততে পারি।
বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের ফুটবলিং সম্পর্ক একদিনে গড়ে উঠেনি। দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে সফর বিনিময়। বিষয়টি স্বীকার করেছেন নেপাল জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার এবং অল নেপাল ফুটবল এসোসিয়েশনের (আনফা) সহ-সভাপতি বিরাট জাংশাই।
বন্ধুত্ব থাকলেও ময়দানি লড়াইয়ে বাংলাদেশকে কোন ছাড় দিতে রাজি নয় নেপালিরা। যার প্রতিফলন ঘটেছে আনফার এই কর্মকর্তার মন্তব্যে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে আমরা জয়লাভ করতে চাই। এতে আমাদের র‌্যাঙ্কিংয়েরও উন্নতি ঘটবে। আমাদের দলে এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে আছেন অধিনায়ক (গোল রক্ষক) কিরন চন্দ্র, অ্যাটাকিং ডিফেন্ডার রোহিত সান, বিমল, অঞ্জনসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। দলে নতুন দুইজন খেলোয়াড় রয়েছে যারা সম্প্রতি জাতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, দুই দেশ এ পর্যন্ত ২৩টি ম্যাচ খেলেছে। তন্মধ্যে আমরা ৭টিতে জয়লাভ করেছি। আর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১৩টি ম্যাচে। ফিফা প্রীতি ম্যাচে ফের পরস্পরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি আমরা। ভালো বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবেই এই ম্যাচের আয়োজন। অবশ্য এই ম্যাচের মাধ্যমে দুই দেশই চায় নিজেদের র‌্যাঙ্কিংকে এগিয়ে নিতে। যে কারণে প্রায় দুইমাস ধরে আমাদের জাতীয় দলের অনুশীলন চলছে। অবশ্য বাংলাদেরে বিপক্ষে এই ম্যাচের পর লাওস ও কম্বোডিয়ার বিপক্ষেও প্রীতি ম্যাচ খেলব আমরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়