সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীরীতি রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে সবাইকে

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, এখনো নিখোঁজ অন্তত ২৭ : মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

পরের সংবাদ

এনআইডি যাচাইয়ে ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ইসির

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় পরিচয় (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের সার্ভার থেকে নাগরিকের পরিচয় যাচাইয়ের ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ব্যাংকসহ অন্যান্য সেবাগ্রহীতার এই খাতে যেমন ব্যয় বাড়বে তেমনি সরকারের রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইসির সার্ভার থেকে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ১৬৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে- ৪৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, ৬ মোবাইল কোম্পানি, ৬৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ২৮টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ৫টি বিমা প্রতিষ্ঠান, ৮টি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি এবং অন্যান্য ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সার্ভার ব্যবহার করে থাকে ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটরগুলো। অর্থাৎ এই দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকেই অধিকাংশ রাজস্ব আদায় হয়।
বর্তমানে প্রতি এনআইডি যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুই টাকা করে ফি দিতে হয়। নতুন সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলে এনআইডি প্রতি ফি দিতে হবে পাঁচ টাকা। কর্মকর্তারা বলছেন, সার্ভার মেইনটেনেন্সসহ সব ব্যয়ই আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া এটা খুব বেশি বৃদ্ধি নয়।
এদিকে শুধু ফি বাড়ানোই নয়, বিলিং সিস্টেমেও আনা হচ্ছে পরিবর্তন। কোন প্রতিষ্ঠান কতবার এনআইডি যাচাই করল তার হিসাব বর্তমানে করা হয় ম্যানুয়ালি। কিন্তু অচিরেই এজন্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে হিসাব রাখা হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল তৈরি হয়ে যাবে।
জানা গেছে, রাজস্ব বোর্ড, অর্থ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা- এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান ইসির সার্ভার থেকে অনলাইনে ব্যক্তির এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ পাঠালে ডাটাবেজ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম, ছবি যাচাই করতে পারে।
অনলাইনে আইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, আঙুলের ছাপ পাঠানো হলে ডাটাবেজ থেকে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তথ্য যাচাই করে হ্যাঁ/না আকারে জানানো হয় মোবাইল অপারেটরগুলোকে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোকে অনলাইনে নাম, আইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, বাবার নাম, মায়ের নাম পাঠানো সাপেক্ষে ডাটাবেজ থেকে শুধুমাত্র যাচাই করে হ্যাঁ/না আকারে জানানো হয়।
বেওয়ারিশ লাশ, জঙ্গি, অপরাধীদের আঙুলের ছাপ অনলাইনে পাঠানো হলে ডাটাবেজে রক্ষিত সব বায়োমেট্রিক তথ্যের সঙ্গে আঙুলের ছাপ যাচাই করে র‌্যাব, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, পিবিআই ইত্যাদি সংস্থাগুলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচিতি শনাক্ত করে দেওয়া হয়।
এছাড়া অনলাইনে আইডি নম্বর, জন্ম তারিখ পাঠানো হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডাটাবেজ থেকে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, আইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম ও ছবি ইত্যাদি ইমেজ আকারে দেখানো হয়।
এ বিষয়ে ইসির আইডিইএ প্রকল্পের পরিচালক আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের জানিয়েছেন, প্রতিবার তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য এক টাকা এবং বেসরকারি-আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য দুই টাকা হারে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইকরণ চার্জ ধার্য করা আছে। বেসরকারি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য প্রতিবার তথ্য যাচাই ফি দুই টাকার পরিবর্তে ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেছে এবং গেজেট প্রকাশের পর কার্যকর হবে। পার্টনার প্রতিষ্ঠানসমূহ নাগরিকের জাতীয় পরিচিতি নম্বর এবং জন্ম তারিখ কমিশনের সার্ভারে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী জাতীয় পরিচিতি নম্বর এবং জন্ম তারিখের পাশাপাশি আঙ্গুলের ছাপ পাঠালেও নাগরিকের প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করার সুযোগ রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ২০১২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে এনআইডি ডাটাবেজ ব্যবহার করে পরিচিতি যাচাই সেবা চালু করে। ধীরে ধীরে এখন সব প্রতিষ্ঠানই ইসির সঙ্গে তথ্য শেয়ারের এই চুক্তিতে আসছে। এতে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব বাড়ছে, অন্যদিকে কমে যাচ্ছে জাল-জালিয়াতি। এতে ইসির আয়ও বাড়বে বলে মনে করছে কমিশন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়