সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীরীতি রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে সবাইকে

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, এখনো নিখোঁজ অন্তত ২৭ : মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

পরের সংবাদ

ইসি আলমগীর : ইভিএমে ১২ কোটি ভোটারের বিশ্বাস আছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইভিএম নিয়ে দলগুলোর আস্থাহীনতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ইভিএমে ১২ কোটি ভোটারের পরিপূর্ণ আস্থা আছে। হয়তো দলগুলোর রাজনৈতিক কৌশল আছে, তাই তারা বিরোধীতা করছে। তবে মনে হয় তাদেরও অন্তরে বিশ্বাস আছে, মুখে নেই। কারণ অনেক দলই বিপক্ষে কথা বলছে, কিন্তু আমাদের কাছে এসে পক্ষে বলেছেন। একটি দলের একজন সংসদ সদস্য আমাদের কাছে এসে লিখিত দরখাস্ত করেছেন তার এলাকায় ইভিএম দেয়ার জন্য। কাজেই এটা অন্তরে আছে, তারা ইভিএম বিশ্বাস করেন।’ গতকাল রবিবার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমের ভোটে সবাই নির্বাচনে আসবে। ২০২৩ বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে তাতে ৩৯টি দলই অংশগ্রহণ করবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি মনে করে অন্য দলের সঙ্গে নির্বাচন করবে অথবা অন্য একটি দলকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য অংশগ্রহণ করবেন না, এমনটাও তো হতে পারে। আমরা অবশ্যই ভোটের পরিবেশ তৈরি করবো। আমাদের ভেতরে ও বাইরে এক। আলাদা কিছু নেই। রোডম্যাপে আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলার কথা উল্লেখ করেছি। কোনো কমিশনই কি এর আগে তা করেছে? আমরা কনফিডেন্ট এইজন্য যে, এই রোডম্যাপ আমরা বাস্তবায়ন করবো। বাস্তবায়ন করলে সবাই আসবে। ইভিএম ব্যবহারের কারণে কোনো দল নির্বাচন বয়কট করবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি।’
এ কমিশনার বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে। এগুলো নিয়ে অনেকেই প্রচার করছেন। হয়তো জীবনে কোনোদিন দেখেননি, তারা টিভিতে কথা বলছেন। যারা পক্ষে বলছেন তারাও ভুল বলছেন। তাই ম্যাসিভ প্রচারে যাবো।’ তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ওভাররাইট করার সুযোগ নেই। এখানে ওভাররাইটের বিষয়ও নেই। কারো আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তার আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেয়ার অনুমতি দেন। তার আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারের পরিচিতি এনআইডি নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হয়। অথচ টক শোতে বলছেন ওভাররাইট করা যায়।’
মো. আলমগীর বলেন, ‘অনেকে বলছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এটাকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারেন। কিন্তু আপনারা এসে দেখেন, যে ইভিএম চাইবেন আপনাদের সেটাই পরীক্ষা করতে দেবো, দেশ-বিদেশের এক্সপার্ট নিয়ে আসেন, দেখেন। আবার বলা হয়, মামলা হলে কিসের ভিত্তিতে হবে। ভিপি ট্রেইল তো নেই। আমাদের ইভিএমে এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা আছে। নির্বাচনের পর একবছর পর্যন্ত সিলগালা অবস্থায় থাকবে। এখানে থেকে কোন মার্কায়, কখন ভোট পড়েছে, কত ভোট পড়েছে সব প্রিন্ট করা যাবে।’
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ‘ইভিএমে বিশ্বাস কিন্তু ভোটাররা করে। কোথাও দেখেছেন এটা নিয়ে প্রতিবাদ করতে, মিছিল করতে? যারা লিখছেন তারা তো ইভিএম দেখেনইনি, শুনেনওনি। তারপরও লিখে ফেলছেন।’ তিনি বলেন, ‘ইভিএমটা আসলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করছি। আমরা পারলে ৩০০ আসনেই করতাম। ওই তো বললাম টাকা নাই। আবার ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারবো না। আমরা যদি আরো দুই বছর আগে দায়িত্বে আসতাম, তাহলে ৩০০ আসনে ইভিএম করতাম।’
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের টার্গেট সুষ্ঠু নির্বাচন করা। ইভিএমে ছিনতাই, জাল ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। তাই ইভিএমে যাবে না। যাবে ওইখানে, যেখানে ব্যালট পেপারে ভোট হবে। আমরা ওই জন্যই ব্যালটে যেখানে হবে, সেখানে ফোর্স বেশি মোতায়েন করবো। ইভিএমের আসনগুলোতে ফোর্স অত লাগবে না।’
অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তো কথা বলতে পারি না। একটি বড় দল, তার সঙ্গে আরো চারটি দল সরাসরি ইভিএম চেয়েছে। শর্ত সাপেক্ষে আরো সব মিলিয়ে ১৭টি দল চাচ্ছে। তবু বলা হচ্ছে ইভিএম নিয়ে মতামত পাল্টে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা লিখলেন তারা কি প্রমাণ করতে পেরেছেন?’
মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমে প্রাথমিক ব্যয় বেশি। একটা ব্যালট কিন্তু ছাপাতে হয়, ক্যারি করতে হয়, প্রচুর খরচ আছে। ইভিএমে একবার খরচ হয়। এরপর এটা কিন্তু আমরা নানা নির্বাচনে ব্যবহার করি। ওই মামলা করার জন্য যে সময় থাকে, ওই সময় পর্যন্ত আমরা ওই ইভিএমটা রেখে দিই। সেই সময় শেষ হলেই কেবল আরেকটা নির্বাচনে ওই ইভিএমটা ব্যবহার করি। ইভিএমে লাইফ টাইম ২০ বছর পর্যন্ত আছে। ইভিএম তো কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনেও ব্যবহার করছি। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেছি। এই কমিশন আসার পর একটা নির্বাচনও ব্যালটে করিনি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়