সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীরীতি রক্ষায় সজাগ থাকতে হবে সবাইকে

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, এখনো নিখোঁজ অন্তত ২৭ : মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

পরের সংবাদ

অপারেশন থিয়েটারে দুই চিকিৎসকের মারামারি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে দুই ডাক্তারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অপারেশন থিয়েটার দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন অপারেশন করতে আসা রোগীরা।
গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার জেনারেল সার্জারি এবং গাইনি ও প্রসূতি অপারেশন থিয়েটারে এ ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী জানান- হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট নাহিদুল কাদির এনেস্থেসিয়ান ও একই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শামসুর রহমানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ডা. নাহিদুল কাদির এনেস্থেসিয়ান অধ্যাপক ডা. তাইজুল ইসলামকে ডেকে আনলে তার সঙ্গেও কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ডা. তাইজুল ইসলাম অপারেশন থিয়েটারের ভেতরেই ডা. শামসুর রহমানের উপর চড়াও হয়ে তার শার্টের কলার ধরে ঘুষি মারেন।
কর্মচারীরা আরো বলেন, আমরা অপারেশন থিয়েটারের দরজার সামনে ছিলাম, পরে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে হট্টগোল শুনি এবং জানতে পারি এক ডাক্তার আরেক ডাক্তারকে মেরেছেন। ঘটনার পর থেকে অপারেশন থিয়েটারে প্রায় ২ ঘণ্টা অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে করে নিপা আক্তার, ঝর্ণা বেগমসহ কয়েকজন রোগী অপারেশন না করিয়েই চলে যান।
অপারেশন থিয়েটার থেকে ফেরত আসা রোগী ঝর্ণা বেগমের স্বামী বাবুল হোসেন বলেন, সকাল ৯টার দিকে অপারেশনের জন্য ঝর্ণাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঝর্ণাকে অপারেশন থিয়েটারের পাশের রুমে রাখা হয়। হঠাৎ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে গণ্ডগোল শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন থিয়েটারের ক্যাচিগেট লাগিয়ে দেন সেখানকার লোকজন। দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর অপারেশন থিয়েটার খোলা হয়। এসব গণ্ডগোলের কারণে ঝর্ণার অপারেশন আর করেননি ডাক্তাররা।
রোগী ঝর্ণা বেগম বলেন, আমি পেটের ব্যাথা নিয়ে ১১দিন ধরে ভর্তি আছি। অনেক অপেক্ষার পর আজ অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডাক্তারদের মারামারির কারণে অপারেশন হলো না। এখন শুনছি কাল নাকি আমার অপারেশন হবে। আমি পেটের ব্যাথা আর সইতে পারছি না।
এ বিষয়ে ডা. তাজুল ইসলাম ও নাহিদুল কাদিরের সঙ্গে মোবাইলে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন ধরেননি।
এসব বিষয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে দুই ডাক্তারের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছিল। আমরা কয়েকজন বসে বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছি। এখন অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়