সহিংসতা প্রতিরোধে মাঠে থাকবে ১৪ দল

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে নিহত ২৫, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক : করতোয়া তীরে শোকের মাতম

পরের সংবাদ

১০ বছর পর বাসু হত্যার ফেরারি আসামি গ্রেপ্তার : বিরোধপূর্ণ জমিতে ভবন নির্মাণ নিয়েই হত্যাকাণ্ড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বরিশাল সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আলকেস (৫২) সামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার র‌্যাব-৪ একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আলকেস গত ২০১২ সালে রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর বাসু হত্যা মামলার আসামি। এ মামলায় জামিনে বেরিয়ে ফেরারি হন তিনি। আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় নিজের পরিচয় আড়াল করার জন্য ক্রমাগতভাবে পেশা পরিবর্তন করেন তিনি। বরিশাল গিয়ে ট্রাক চালকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করলেও পরে সিলেটে বাস চালানো শুরু করেন। এক পর্যায়ে বেপরোয়াভাবে বাস চালানের সময় তার বাসের নিচে চাপা পড়ে একজন নিহত হয়। এ ঘটনায় সিলেটের ওসমানী নগর থানায় পরিবহন আইনে তার বিরুদ্ধে পুনরায় হত্যা মামলা হলে তিনি পালিয়ে কুয়াকাটায় মাছ ধরার ট্রলারে কাজ শুরু করেন। তখন মাছ ধরার পাশাপাশি সাগরে বিভিন্ন ট্রলারে ডাকাতি করতেন আলকেস। আটকের আগ পর্যন্ত গত দেড় বছর ধরে একটি দূরপাল্লার পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন তিনি। ১০ বছর পলাতক থাকার পর র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তারে সমর্থ হয়।
আলকেসকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাজধানী কারওয়ানবাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, বিরোধ থাকা জমি নিয়ে আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার পর ভবন তৈরির কাজ শুরু করেন বাসু মিয়া ও চিনু মিয়া দুই ভাই। গত ২০১২ সালের ১৪ মে বাসু নবনির্মিত ভবনের ছাদে পানি দেয়ার জন্য একজন কর্মচারী নিয়ে যান। তখন জমি নিয়ে হওয়া মামলার আসামি আলকেস, আজগর, রাজু, খলিল, সেলিম, কদর আলী ও লেদুসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় ধারাল অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে আক্রমণ করেন।
এক পর্যায়ে আলকেস গুলি চালালে বাসু মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে নিহতের ভাই চিনু মিয়া এ ঘটনায় আলকেসসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আলকেসসহ অন্য আসামিরা চার মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। জামিনে বের হয়ে এলাকায় অবৈধ বালুর ব্যবসা শুরু করেন তিনি। বাসু হত্যা মামলার আসামি আজাহার ও সানুর সঙ্গে বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় দুজনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় সাভার থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি তিনি।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সংরক্ষণ করার অপরাধে পরিবেশ অধিদপ্তর তার বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় মামলা করে।
এরই মধ্যে বাসু হত্যা মামলায় অন্যান্য আসামিরা আদালতে হাজিরা দিলেও আলকেস আর কখনো হাজিরা দেননি। এক পর্যায়ে সব মামলা মাথায় নিয়ে ফেরারি হন তিনি। তবে আদালত পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে গত বছরের ১৫ নভেম্বর আলকেসসহ মোট ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়