সহিংসতা প্রতিরোধে মাঠে থাকবে ১৪ দল

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে নিহত ২৫, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক : করতোয়া তীরে শোকের মাতম

পরের সংবাদ

দুর্গাপূজা : আত্রাইয়ে ঘরে ঘরে উৎসবের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল মজিদ মল্লিক, আত্রাই (নওগাঁ) থেকে : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আত্রাইয়ে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ। শিল্পীর রংতুলির আঁচড়ে মূর্ত হয়ে উঠছে দেবীর রূপ। হিন্দুদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতি বছর অসুরের বিনাশ করতে মা দেবী দুর্গা এই ধরাধামে আবির্ভূত হন। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার ও গøানি দূর করার জন্যই পূজার আয়োজন।
এই উদ্দেশ্য সামনে রেখে সারা দেশের মতো আত্রাইয়েও শুরু হতে যাচ্ছে দুর্গাপূজা। আর এ পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এদিকে উপজেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গাকে বরণ করতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঘরে ঘরে চলছে আনন্দ উৎসব ও পূজার প্রস্তুতি। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ১ অক্টোবর শুরু হবে পূজা। দশমী পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৫ অক্টোবর উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
উপজেলার বিভিন্ন দুর্গামন্দির ঘুরে দেখা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষের দিকে। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির তথ্যমতে, এবার উপজেলার ৫০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। কথা হয় উপজেলা ভবানীপুর গ্রামের প্রতিমাশিল্পী শ্রী নয়ন মালাকার ও তপন মালাকারের সঙ্গে। তারা বলেন, ‘আমরা বাবা-দাদার আমল থেকে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। ছোটবেলা থেকে কাদামাটি ও রংতুলির সঙ্গে বেড়ে ওঠা। প্রতি বছরের মতো এ বছরও বেশ কয়েকটি প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে পেয়েছি। প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩০ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির ফরমাশ নেয়া হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। তারপরও থেমে নেই কিছুই।’ প্রতি সেট প্রতিমা তৈরিতে ব্যয় বেড়ে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার উপরে। বিক্রি করেন ২৫/৩০ হাজার টাকায়।

এ বিষয়ে ভবানীপুর সর্বজনীন দুর্গামন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিকাশ চন্দ্র ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক সুবোধ কুমার সরকারের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, বর্তমান সরকার তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে। তাই এবারের পূজায় তাদের আনন্দ ও বেশি হবে।
আত্রাই উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বরুণ কুমার ও সাধারণ সম্পাদক সনৎ কুমার প্রামাণিক বলেন, ‘আমরা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। তারা আরো জানান, এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৫০টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপকে বিশেষ নজরদারিতে রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। পূজা সামনে রেখে সম্ভাবনার কথা জানালেন আত্রাই থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তারেকুর রহমান সরকার। তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপ-পরিদর্শকদের (এএসআই) বিভিন্ন মণ্ডপের দায়িত্ব দিয়ে নিয়মিত টহল দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি পূজামণ্ডপগুলো গোয়েন্দাদের নজরদারিতে থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। অন্য বছরের চেয়ে এবার জোরাল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না এবারের পূজায়। তবে এ জন্য তিনি সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়