সহিংসতা প্রতিরোধে মাঠে থাকবে ১৪ দল

আগের সংবাদ

পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে নিহত ২৫, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক : করতোয়া তীরে শোকের মাতম

পরের সংবাদ

গোয়েন্দা প্রতিবেদন : অনেক মণ্ডপে স্থাপন হয়নি সিসি ক্যামেরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দুর্গাপূজা ঘিরে মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, আনসার মোতায়েন ও স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা করা ছিল উল্লেখযোগ্য। আজ পূজার মহালয়া শুরু হলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটি স¤প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদকেও।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও অনেক পূজামণ্ডপেই এখন পর্যন্ত স্থাপন করা হয়নি সিসি ক্যামেরা, গঠন করা হয়নি স্বেচ্ছাসেবক দল এবং অনিরাপদ স্থানে স্থাপন করা হচ্ছে অস্থায়ী পূজামণ্ডপ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ না করে মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘিœত করলে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনার দায়ভার সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকেই নিতে হবে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পূজা শুরু হওয়ার আগেই কমিটিবিষয়ক দ্ব›দ্ব সমাধান করে দুর্গাপূজা নির্বিঘœ করা প্রয়োজন। নানা সময় ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিজেদের মধ্যকার কিংবা স্থানীয় মুসলমানদের সঙ্গে দ্ব›েদ্বর বিষয়গুলোকে সা¤প্রদায়িক রূপ দিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রচার করা হয়। যে কোনো সা¤প্রদায়িক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার্তা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেন, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে স্থায়ী মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি ও কমিটির পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে ভ্রাম্যমাণ বা অস্থায়ী মণ্ডপে এখনো নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে এবার ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকেও সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজার নিরাপত্তাবিষয়ক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৯টি নির্দেশনা দেন। যার মধ্যে ছিল- পূজামণ্ডপে অন্য বাহিনী ছাড়াও ২৪ ঘণ্টা আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে, গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা নজরদারি করবে, সব মণ্ডপে বাধ্যতামূলক সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে, এমন জায়গায় পূজামণ্ডপ করা যাবে না যেখানে গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না, পূজামণ্ডপের স্বেচ্ছাসেবকদের বাধ্যতামূলক হাতে আর্মব্যান্ড পরতে হবে, যে কোনো গুজবের ব্যাপারে সতর্ক নজর রাখা হবে, বিশেষ করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটর করা হবে, কোনো ধরনের গুজব ছড়ানোকে কঠোর হাতে দমন করা হবে। এছাড়া পূজার সময় পুলিশ সদর দপ্তর এবং জেলাপর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা যাবে, থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজানের সময় পূজামণ্ডপে বাদ্যযন্ত্রের শব্দ সহনীয় রাখতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়