হাছান মাহমুদ : সেই নৈরাজ্যের পথেই হাঁটছে বিএনপি

আগের সংবাদ

ভূরাজনীতির ফাঁদে প্রত্যাবাসন! রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এডিটরস গিল্ডের গোলটেবিল বৈঠক : ৫ বছরে সংকট আরো বেড়েছে

পরের সংবাদ

রোবায়েত ফেরদৌস : প্রান্তিক মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রান্তিক মানুষরা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। তিনি বলেছেন, একটা রাষ্ট্র কতটুকু ভালো বা খারাপ চলছে সেটা মাপার স্কেল হচ্ছে, যারা দরিদ্র মানুষ, যারা জাতিগত সংখ্যালঘু কিংবা ধর্মীয় সংখ্যালঘু। সেসব প্রান্তিক মানুষ যদি বলে আমরা ভালো আছি তাহলে সবাই মানবে এই রাষ্ট্র ভালো আছে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ বললে হবে না। যদি চাকমা, মারমা, লুসাই, সনাতন ধর্মের লোকদের মুখে হাসি ফুটানো যায়, যেটা বঙ্গবন্ধু বলেছেন, তাহলে বলা যাবে দেশ ভালো আছে। কিন্তু প্রান্তিক মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায় দেশ কোন পর্যায়ে আছে।
গতকাল শুক্রবার প্রেস ক্লাবে হরিজন সম্প্রদায়ের আবাসন ও আউটসোর্সিং বাতিলসহ ৭ দফা দাবিতে হরিজন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রোবায়েত ফেরদৌস। এ সময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব নির্মণ চন্দ্র দাস ও সভাপতি কৃষ্ণলাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটির অ্যাস্কে ডেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ধীরেস চন্দ্র দাস ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইফতার হোসেন।
হরিজনদের সামাজিক মর্যাদা এখনো নিশ্চিত হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, হরিজনরা টাকা পয়সার চেয়ে সম্মান-মর্যাদা চায়। কিন্তু সেই মর্যাদা এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। স্বাধীনতার অন্যতম ঘোষণা ছিল প্রত্যেক মানুষের মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, সাম্য প্রতিষ্ঠা। কিন্তু মানুষের মর্যাদা কি আমরা তৈরি করতে পেরেছি? হরিজন সম্প্রদায়কে মানুষ হিসেবে সম্মানের জায়গায় নিতে পেরেছি?
ধীরেস চন্দ্র দাস বলেন, চাকরি হারানোর ভয়ে অনেক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ছয় থেকে সাত কিলোমিটার পর্যন্ত পরিষ্কার করতে হয়। এটা অমানবিক। ঢাকা উত্তর সিটির চেয়ে দক্ষিণ সিটিতে বৈষম্য বেশি। অন্যদিকে নতুন করে মন্ত্রণালয় বা বিভাগ আউটসোর্সিং এর নামে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিচ্ছে। চলছে নিয়োগ বাণিজ্য। ফলে এই পদে নিয়োগ পাচ্ছে অ-হরিজন আর অল্প বেতনে একই পদে কাজ করছে হরিজনরা।
এই সম্প্রদায়ের চাকরি স্থায়ীকরণসহ ৭ দাবি তুলে ধরে সভাপতি কৃষ্ণলাল বলেন, ঝাড়–দার, ক্লিনার, সুইপার পদে ৮০ শতাংশ কোটা বাস্তবায়ন, উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা চালু করতে হবে। এসব দাবি মেনে না নিলে তারা যদি রাস্তায় নামেন, তাহলে সরকারেরই বদনাম হবে। তিনি আরো বলেন, হরিজনদের থাকার জন্য জায়গা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো দলিল দেয়া হয়নি। তাই সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সরকারের ও সিটি করপোরেশনের কিছু কর্মকর্তার বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে তারা তা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়