হাছান মাহমুদ : সেই নৈরাজ্যের পথেই হাঁটছে বিএনপি

আগের সংবাদ

ভূরাজনীতির ফাঁদে প্রত্যাবাসন! রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এডিটরস গিল্ডের গোলটেবিল বৈঠক : ৫ বছরে সংকট আরো বেড়েছে

পরের সংবাদ

বৈশ্বিক কয়লা উত্তোলন আবারো ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চলতি বছর আবারো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে বৈশ্বিক কয়লা উত্তোলন। এতে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
স¤প্রতি উড ম্যাকেনজির এক প্রতিবেদনে চলতি বছর বৈশ্বিক কয়লা উত্তোলন দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এসব দেশের সম্মিলিত উত্তোলন গত বছরের চেয়ে ৪০ কোটি টন বা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়বে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর কয়লার বৈশ্বিক উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮১২ কোটি ৬০ লাখ টন।
এর মধ্যে ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা উত্তোলন করবে ৫৫০ কোটি টন। গত বছর এসব দেশের সম্মিলিত উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ৫১০ কোটি টন। অন্যদিকে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে রাশিয়ার উত্তোলন ১৮ শতাংশ এবং ইউক্রেনের উত্তোলন ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ কমতে পারে।
৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমার পর গত বছর খুব ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বৈশ্বিক কয়লা উত্তোলন। ওই বছর সব মিলিয়ে ৮০৫ কোটি ৯০ লাখ টন কয়লা উত্তোলন হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্য দিয়ে উত্তোলন মহামারিপূর্ব অবস্থায় ফিরে যায়। গত বছর মোট উত্তোলিত কয়লার ৮৭ দশমিক ৩ শতাংশই তাপীয়। বাকি ১২ দশমিক ৭ শতাংশ ধাতব কয়লা।
গত বছর কয়লা উত্তোলন বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। মূলত এসব দেশের সরকারি নীতির কারণেই উত্তোলন বেড়েছে। আবার একই সময় দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউক্রেন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় উত্তোলন কমেছে। এ সময় ভারি বৃষ্টিপাত ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়সহ আবহাওয়াজনিত কারণে দক্ষিণ আফ্রিকান খনিগুলোয় উত্তোলন ব্যাহত হয়। সর্বোপরি স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সরবরাহ চ্যালেঞ্জের কারণেই কয়লার চাহিদা বাড়ছে। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থানান্তর কয়লার বৈশ্বিক উত্তোলন প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

উড ম্যাকেনজির দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২২-২৬ সাল পর্যন্ত কয়লা উত্তোলনে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৬০ কোটি টনে।
গত বছরের নভেম্বরে গøাসগোয় জলবায়ু পরিবর্তন সামিট কপ-২৬ অনুষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যুৎ খাতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা ও কয়লার ব্যবহার বন্ধে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা বাস্তবায়ন। সামিটে ৪০টি দেশ নতুন কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অনুমোদন কিংবা সরকারি উদ্যোগে নির্মাণ বন্ধের প্রতিশ্রæতি দেয়। তবে অনেক শীর্ষ কয়লা উত্তোলক দেশ এ-সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
চীন, ভারত, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া কয়লা ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র আগামী বছরগুলোয় উত্তোলন কমানোর কথা জানিয়েছে। আগামী বছরগুলোয় উত্তোলন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে ভারত। ২০২৬ সাল নাগাদ দেশটির উত্তোলন ৮১ কোটি ৯ লাখ টন থেকে বেড়ে ১২০ কোটি টনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ভারত কয়লা আমদানিনির্ভরতা শূন্যে নামিয়ে আনার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়