হাছান মাহমুদ : সেই নৈরাজ্যের পথেই হাঁটছে বিএনপি

আগের সংবাদ

ভূরাজনীতির ফাঁদে প্রত্যাবাসন! রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এডিটরস গিল্ডের গোলটেবিল বৈঠক : ৫ বছরে সংকট আরো বেড়েছে

পরের সংবাদ

পুতিনের ঘোষণার পর দেশ ছাড়ছেন রাশিয়ানরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আরো ৩ লাখ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার এই ঘোষণার পর আতঙ্কে দেশ ছাড়ছেন লাখ লাখ নাগরিক। যুদ্ধ এড়াতে সীমান্ত এলাকায় যুবকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। অনেকে শুধু পাসপোর্ট নিয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার পুতিন জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণে ‘আংশিক সেনা সমাবেশ’ করার ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার রাশিয়া এ ধরনের সেনা সমাবেশ করতে যাচ্ছে। ‘যে কোনো উপায়ে রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা’ করার হুমকি দিয়ে ইউক্রেনে লড়াইয়ের জন্য ৩ লাখ রিজার্ভ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
তার ঘোষণার পর রাশিয়ার নাগরিকরা আতঙ্কে রয়েছেন। যুদ্ধে যাওয়া বয়সি যুবকদের সীমান্ত এলাকায় সবচেয়ে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে গাড়ি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করছেন সীমান্ত পার হতে। তবে তা অস্বীকার করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত যুবকদের দেশত্যাগের হিড়িকের খবর অতিরঞ্জিত।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, প্রতিবেশী জর্জিয়া সীমান্তে তরুণদের গাড়ির সংখ্যাই বেশি। ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ না নিতে দেশ ছাড়ছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান, ঘর থেকে শুধু পাসপোর্ট নিয়েই বেরিয়ে পড়েছেন। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর তালিকায় সম্ভবত তিনিও পড়েছেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, জর্জিয়া-রাশিয়া সীমান্তে আপার লারস চেকপয়েন্টে রাশিয়ার নম্বরপ্লেট লাগানো অনেক গাড়ি লাইন ধরে পার হচ্ছে। প্রচুর গড়ি জমে যাওয়ায় যেখানে রীতিমতো দীর্ঘ যানজট। কেউ কেউ বলছেন, ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির সারি। সীমান্ত পাড়ি দিতে কারো ৭ ঘণ্টা লেগেছে।

কয়েকটি দেশের মধ্যে জর্জিয়ায় ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন রুশ নাগরিকরা। তবে রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের সীমান্ত থাকলেও দেশটিতে প্রবেশে ভিসার আবেদন প্রয়োজন হয়। এর মধ্যেও ফিনিশ সীমান্ত হয়েও প্রবেশের চেষ্টা করছেন রুশরা।
তুরস্কের ইস্তানবুল, বেলগ্রেড এবং দুবাইয়ের টিকেটের দাম আঁকাশ ছুঁয়েছে। পুতিনের ঘোষণার পরপরই টিকেট শেষ হয়ে গেছে। কেউ কেউ আকাশপথে দেশ ছাড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে গত বৃস্পতিবার জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশত্যাগ করা রাশিয়ানদের স্বাগত জানাবে বার্লিন।
এদিকে আংশিক সামরিক সমাবেশে প্রতিবাদে মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ বেশ কয়েকটি বড় শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ করেছে নাগরিকরা। বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থানে পুতিন প্রশাসন। সবশেষ ১৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়