হাছান মাহমুদ : সেই নৈরাজ্যের পথেই হাঁটছে বিএনপি

আগের সংবাদ

ভূরাজনীতির ফাঁদে প্রত্যাবাসন! রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এডিটরস গিল্ডের গোলটেবিল বৈঠক : ৫ বছরে সংকট আরো বেড়েছে

পরের সংবাদ

পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ও ডিস ব্যবসার দ্ব›েদ্ব খুন : ছাত্রলীগ নেতা রানার খুনি আট বছর পর গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ইকবাল হোসেন তারেক (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি গত ২০১৪ সালে রমনা থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পর ফেরারি হন তিনি। বিভিন্ন কাজ করলেও এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তারেক। র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৮ বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে তারেককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, তারেক তৎকালীন সুইফ ক্যাবল লিমিটেড নামে ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক কামরুল ইসলাম ও তানভিরুজ্জামান রনির সঙ্গে নিহত মাহবুবুর রহমান রানার বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ডিসের ক্যাবল কেটে দিত। তা নিয়ে প্রায়ই মারামারি হতো উভয়পক্ষের মধ্যে। এছাড়া তারেক মাদক ব্যবসা ও ইয়াবায় আসক্ত ছিল। মাদককাণ্ডে ২০১১ সালে রমনা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তখন তারেক জানতে পারে তাকে গ্রেপ্তারের পেছনে রানার হাত রয়েছে।
জামিনে বেরিয়ে এসে ডিস মালিকের নির্দেশ ও ক্ষোভের জের ধরে ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মাহবুবুর রহমান রানা মোটরসাইকেলে করে মগবাজার চৌরাস্তা থেকে মসজিদের পাশের গলিতে প্রবেশ করলে তার মুখে ও মাথায় কোপাতে থাকে তারেকসহ অন্যরা। পরে স্থানীয়রা রানাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন গ্রেপ্তার ও ৪ জন পলাতক ছিলেন। পলাতকদের মধ্যে ইকবাল হোসেন তারেক একজন, তার নামে ২০২০ সালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
র‌্যাব-৩ এর সিও আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তারেক প্রথমে পালিয়ে চাঁদপুরের নিজ বাড়িতে চলে যান। চাঁদপুর বাড়ি হলেও তার বেড়ে ওঠা ছিল যশোরে। তাই তাকে না চেনার সুযোগে নিজেকে তাহের হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে চাষাবাদের চেষ্টা করে সুবিধা করতে না পেরে আবার যশোর চলে যান। কিছুদিন পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পর মাদক ব্যবসা শুরু করেন তারেক। তিন বছর আগে আবার ঢাকায় এসে তাহের পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় বসবাস শুরু করেন। মূলত গার্মেন্টস থেকে পরিত্যক্ত জিনিস সংগ্রহ করে বিক্রির আড়ালে মাদক ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সর্বশেষ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর র‌্যাবের জালে ধরা পড়েন তারেক। মাদকসহ একাধিকবার বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হলেও তাহের পরিচয় দিয়ে হত্যা মামলার দায় থেকে বেঁচে যান এ ব্যক্তি। তার নামে হত্যা ও মাদকসহ ৪টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়