হাছান মাহমুদ : সেই নৈরাজ্যের পথেই হাঁটছে বিএনপি

আগের সংবাদ

ভূরাজনীতির ফাঁদে প্রত্যাবাসন! রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এডিটরস গিল্ডের গোলটেবিল বৈঠক : ৫ বছরে সংকট আরো বেড়েছে

পরের সংবাদ

উচ্চ শিক্ষা নিয়েও কৃষিতে মনোনিবেশ : বছরে ফয়সালের আয় ৮-১০ লাখ টাকা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : লেখাপড়া শেষে চাকরি পেতেই হবে এরকম ধারণাকে পাল্টে দিয়েছেন দশমিনার উচ্চশিক্ষিত তরুণ কৃষক ফয়সাল (২৬)। তিনি উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলী হোসেনের ছেলে। ফয়সাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৮ সালে স্নাতোকত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি চাকরির পিছনে না ঘুরে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৪০ শতাংশ পতিত জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মিশ্র ফল চাষ করার উদ্যোগ নেন। পুরো করোনা মহামারির সময় এলাকার কয়েক বেকার তরুণকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন ফলের বাগান ও নার্সারি তৈরির কাজ। মিশ্র ফল ও নার্সারিতে উৎপাদিত বিভিন্ন ফলের চারা বিক্রি করে ফয়সাল বর্তমানে প্রতি বছর ৮-১০ লাখ টাকা আয় করেন।
এ বিষয়ে ফয়সাল বলেন, আমার পিতা একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি অবসর সময়ে বাড়ির আঙিনায় ফল গাছ লাগাতেন। তার ফল গাছ লাগানো দেখে উৎসাহ পায় আমি। তাকে অনুসরণ করে বাণিজ্যিকভাবে ফলের বাগান করার উদ্যোগ নেয়। ২০১৮ সালে এম এ পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে বাড়িতে এসে উপজেলা কৃষি অফিসের উৎসাহে ২৪০ শতক পতিত জমিতে মিশ্র ফল চাষ ও বিভিন্ন ফলের চারা উৎপাদন শুরু করি।
বর্তমানে ফয়সালের বাগানে মিশ্র ফলের মধ্যে রয়েছে আম, আপেল, লিচু, পেঁপে, কলা, লেবু, ড্রাগন, মাল্টা, কুল, আরবের খেজুর ও ভিয়েতনামের নারিকেল। বর্তমানে তার বাগানের ফলগুলো উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাগুলোতে বাজারজাত করা হচ্ছে। তার বাগানে প্রতিদিন ৪ জন শ্রমিক কাজ করেন। প্রত্যেক দিন তাদের মজুরি বাবদ দুই হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়া প্রতিদিন ফয়সাল ও তার বাবা বাগান পরিচর্যায় কাজ করেন। পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় ফয়সালকে নানা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন।
ঢাকা কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী যুবক ফয়সাল বলেন, কৃষি কাজের পাশপাশি চাকরির জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে চাকরি করার পাশাপাশি কৃষি কাজে আমৃত্যু নিজেকে নিয়জিত রাখার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ফয়সাল।
দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর আহমেদ বলেন, ফয়সাল খুব পরিশ্রমী শিক্ষিত যুবক। তারমধ্যে মেধা, ধৈর্য ও কাজ করার মানসিকতা খুবই ভালো। আমরা তাকে সব সময় ভালো পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের চেষ্টা করছি। ফয়সালের দেখাদেখি উপজেলার আরো অনেক উদ্যমী শিক্ষিত যুবক কৃষি কাজে আগ্রহী হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়