হাছান মাহমুদ : সেই নৈরাজ্যের পথেই হাঁটছে বিএনপি

আগের সংবাদ

ভূরাজনীতির ফাঁদে প্রত্যাবাসন! রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এডিটরস গিল্ডের গোলটেবিল বৈঠক : ৫ বছরে সংকট আরো বেড়েছে

পরের সংবাদ

ইউএনও তমালের প্রচেষ্টা : উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আমূল বদলে গেছে গুরুদাসপুর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. মাজেম আলী মলিন, গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে : আমেনা বিবিরা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন। বাল্যবিয়ের কবল থেকে বেরিয়ে এসে সাথী সুলনাতারা এখন বিদ্যালয়মুখী। কৃষক আবুল মিয়াদের জমির ধানও সময়মতো ঘরে উঠেছে। জমি নিয়ে আর বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না কৃষকদের। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এসেছে অসাধারণ পরিবর্তন। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আর মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে আমূল পবির্তন। ইউএনও আসবে ইউএনও যাবে কিন্তু জনগণের মনে জায়গা করে নেয়া খুবই দুরূহ ব্যাপার। যেটি করে দেখিয়ে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন।
ইতোমধ্যেই তার ঝুলিতে যোগ হয়েছে অনেক অর্জন। যে কারণে সম্প্রতি তিনি পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন জয়পুরহাট জেলায়।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত তিন বছরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৩১১টি বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এরমধ্যে জেল-জরিমানা ৪২টি। বাকিগুলো শর্ত সাপেক্ষে বন্ধ করা হয়েছে। বাল্যবিয়ের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া কিশোরী সাথী সুলতানারা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখী হচ্ছে।
এদিকে ভূমি অফিসে মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে গণশুনানি, জমির নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, খাস জমির বন্দোবস্ত, অর্পিত সম্পত্তির লিজ নবায়ন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদানসহ ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমে এসেছে আধুনিকতা। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা। এছাড়া নামজারি থেকে আয় হয়েছে ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৯৮০ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ২.৯৭ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। সেসব জমিতেই বৃদ্ধ আমেনা বিবির মতো ১৮৫টি দরিদ্র পরিবারকে আবাসন দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিজের জায়গায় আবাসনের আওতায় আনা হয়েছে আরো ৪০টি পরিবারকে।
এদিকে মাদকের বিস্তার কমাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গত তিন বছরে সাজা/জরিমানা করা হয়েছে ৫৩১টি। হিসাবমতে- ৩৫ লক্ষাধিক টাকা আদায় হয়েছে এসব অভিযান থেকে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন জানান, করোনাকে অজুহাত না বানিয়ে অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে তিনি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রাসেল নিরলসভাবে কাজ করছেন। নতুন করে একটি লিচু আড়ৎ ও অনেক কিছুর অনিয়ম দূর করে সরকারি রাজস্বের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া সরকারি বেদখল হওয়া স্থাপনাগুলোও উদ্ধারের চেষ্টা ও গরিব অসহায়দের পাশে সর্বদা থাকার চেষ্টা করেছি। পুরো উপজেলার কার্যক্রম ডিজিটালাইজ করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়