হাছান মাহমুদ : সেই নৈরাজ্যের পথেই হাঁটছে বিএনপি

আগের সংবাদ

ভূরাজনীতির ফাঁদে প্রত্যাবাসন! রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এডিটরস গিল্ডের গোলটেবিল বৈঠক : ৫ বছরে সংকট আরো বেড়েছে

পরের সংবাদ

‘আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিউটি সার্কাস’

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুক্তি পেয়েছে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’। ১৯টি প্রেক্ষাগৃহে একযোগে চলছে সিনেমাটি। এই সিনেমার চরিত্র, গল্প ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে জয়া আহসানের সঙ্গে কথা বলেন নেমিয়ান লিও

অনেক দিন পর আপনার অভিনীত সিনেমা দেশে মুক্তি পাচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
বলতে গেলে দেড় বছর পর আমার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ‘বিউটি সার্কাস’। ফিকশন থেকেই দেখেছি মাহমুদ দিদারের আইডিয়া খুব ভালো হয়। বিউটি সার্কাস সিনেমায় আমার জন্য অসাধারণ একটি চরিত্র লিখেছে সে, আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি কোনো স্টান্ট ম্যান ব্যবহার করিনি শুটিংয়ে। অনেক ঝুঁকি নিয়েছি, আবার মজাও ছিল। কারণ এরকম কিছু আর পাব কিনা কে জানে। আমিসহ সবাই অনেক কষ্ট করেছে।

‘বিউটি সার্কাস’ নিয়ে আপনার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
প্রস্তুতি হচ্ছে মানসিক প্রস্তুতিটাই। ডিরেক্টর বলেছে করতে হবে। আমার মনে হয় শুধু আমি না, এখানে যে কোনো আর্টিস্ট থাকলেই সেটা করত। এই কাজগুলো করার যে সুযোগ তা তো সচরাচর আমি পাব না। হয়তো এ রকম কোনো স্ক্রিপ্ট সারা জীবনেই কখনো আসবে না। রোপ ওয়াকিং করতে হয়েছে, ব্লাইন্ড ফোল্ডের যে নাইফ থ্রোয়িং সেটা আমি করেছিলাম। তবে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।

আপনি তো রোলার স্কেটিং করেছেন সিনেমায় কাজটির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
রোলার স্কেটিংয়ে করেছিলাম কিছু কাজ। আসলে ওইসময়ে সার্কাস গ্রুপের যে ট্র্যাপিজ আর্টিস্টের ক্যারেক্টার আমার। ওগুলো যদি না করি তো এটাকে ঠিক অথেনটিক মনে হবে না। এটা অবশ্যই রিস্ক ছিল। আমার এখনো মনে আছে যে, প্রায় প্রতিদিনই আমি ৬০ ফিট উপরে উঠেছিলাম। ডিরেক্টর বলত, আপা এভাবে যাবেন ওভাবে যাবেন। ও তো খুব ড্রামাটিকভাবে বলে, তো আমরা সেটা হিপটোনাইজ হয়ে করা শুরু করি। সারাদিন ডিরেক্টর আমাকে চাঙে উঠিয়ে বসিয়ে রাখছে ৬০ ফিট ওপরে।

৬০ ফিট ওপরে উঠতে গিয়ে কি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন?
সত্যিকারের সার্কাসের তাঁবু ফেলা হয়েছিল। তারপর আমি কিন্তু ৬ মাসের মতো আমি কোনো বডি হাকিং কাপড়-চোপড় পরতে পারিনি। ব্লিডিং হয়েছিল প্রচুর। কিন্তু আর্টিস্টের ভেতর যে আর্টিস্ট অর্থাৎ আমাদের যে আর্টিস্টিক ফিল সেটা তো কিছুতেই কেনা সম্ভব নয়। সেটাই আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের সব আর্টিস্টই সেটা চেষ্টা করত। চরিত্রের প্রয়োজনে করতে হবে তাই করে নিয়েছি।

আপনি তো অ্যানিমেল লাভার, সিনেমাতেও অনেক পশু-পাখি ব্যবহার করা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি?
যেহেতু এটা একটা সার্কাস দল এবং এই দলের গল্পটা অথেনটিক করার জন্যই আমাদের ছবিতে পশু-পাখি ব্যবহার করা হয়েছে এবং সব নিয়ম-কানুন মেনে এবং সেফটি ইস্যু মেইন্টেইন করে। আমি কিন্তু নিজে ঠিকভাবে পশু-পাখি ইউজ করার পক্ষে। আমি যেহেতু প্রচণ্ড অ্যানিমেল লাভার, আমার একটা কাজ ছিল। কি করে এদের ঠিকভাবে রাখা হয়, তদারকি করা হয়। আমি রাত জেগে নিজে এগুলো দেখতাম। এ বিষয়গুলো ছিল। কলাবাগান মাঠে একটা রাশিয়ান সার্কাস দেখতে গিয়েছিলাম বাবার সঙ্গে। কিছুই বুঝিনি, রাশিয়ান কতগুলো মেয়ে বসেছিল তারা কি কি সব নিয়ে এসেছিল। মনে হয় বাঘ-টাঘ কিছু ছিল। গিয়েছিলাম তো খুবই ছোটবেলায় তাই এটুকুই মনে আছে।

চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হয়েছে আপনাকে?
চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অনেক কিছুই করেছি। এ ছবিটা করতে গিয়ে আমি বুঝতে পারলাম আমরা তো নিজেরা আর্টিস্ট। আমাদের আর্টফর্মে এবং যখন ওখানে পারফর্মার একজন ট্র্যাপিজ আর্টিস্ট হিসেবে আমি কাজ করছি। আমরা কিন্তু সেরকমই জীবনযাপন করছি। ওদের সঙ্গে মিশে যেতে হয়েছে, ওদের কাছ থেকে খেলা শিখতে হয়েছে। ওরাই আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছিল। মানে ওই আর্টিস্টের জীবনটাও একটা অদ্ভুত। আমরা রেকি করতে গিয়েছিলাম আগে। ইটস অ্যা নাইস জার্নি আসলে।

আপনার আসন্ন সিনেমাগুলো নিয়ে বলুন…
এই মুহূর্তে দুই বাংলা মিলিয়ে প্রায় ১০টির মতো সিনেমা রিলিজের অপেক্ষায় আছে। তাই আমি আপাতত নতুন কোনো কাজ হাতে নিচ্ছি না। অনেক সিনেমা এখানেও মুক্তি পাবে ওখানেও মুক্তি পাবে। রিলিজ করলে তারপর দেখা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়