এসপি হলেন পুলিশের ৪৭ কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

সাশ্রয়ের নামে নিম্নমানের বই! : ছাপানো শুরু হয়নি, বছরের প্রথমদিন সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া অনিশ্চিত

পরের সংবাদ

হিজাবের আগুনে জ¦লছে ইরান নিহত ৩১

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : হিজাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সপ্তম দিনে ইরানের বিভিন্ন শহরে দুই আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য ও সংসদ সদস্যসহ ১৭ জন নিহত হয়েছে। প্রতিবাদী নারীরা তাদের মাথার হিজাব খুলে পুড়াতে থাকে এবং নেচে নেচে আগুন ধরাতে থাকে। বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভে উত্তাল ইরানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। তেহরানে চলছে পুলিশ এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের লড়াই। অবশ্য রাষ্ট্রীয় মিডিয়া নিরাপত্তাকর্মী এবং বিক্ষোভকারীসহ ১১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। কিন্তু কুর্দি মানবাধিকারগোষ্ঠী বলেছে, যে শুধু পশ্চিম ইরানেই ১৫ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন।
একটি পারিবারিক ভ্রমণের সময়, ২২ বছর বয়সী মাহাশা আমিনীকে গত মঙ্গলবার ‘অনুপযুক্ত’ হিজাবের জন্য গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্বজনরা অভিযোগ করেন, এই আইন লঙ্ঘনের অপরাধে পুলিশ ওই কুর্দি নারীকে আটক ও মারাত্মকভাবে মারধর করেছে। তার মাথায় আঘাত করেছে। ফলে তিন দিন পরে তিনি মারা যান। পুলিশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তার মারাত্মক হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। কিন্তু পরিবার বলছে, সে পুরোপুরি সুস্থ ছিল।
২২ বছরের তরুণী মাহাশা আমিনির মৃত্যু ইরানে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবারও ইরানের রাস্তায় দেখা গিয়েছে গণক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। সেই সঙ্গে সরকারবিরোধী স্লোগানও ওঠে। দেশে মেয়েদের কঠোর পোশাকবিধির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। রাজপথে তাদের প্রতিবাদে পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। ইরানের ১৫টি শহরে মাহাশার মৃত্যুর প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার মানুষের জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়েছে পুলিশ। চলেছে ধরপাকড়ও।
ইরানের মেয়েরা মাহশার মৃত্যুর পর হিজাব পুড়িয়ে, মাথার চুল কেটে ফেলে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। সমাজমাধ্যম জুড়েও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। দেশের পুলিশের নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইরানের মেয়েদের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে মাহাশার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ইতোমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। কিন্তু ক্ষোভ তাতে প্রশমিত হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়