এসপি হলেন পুলিশের ৪৭ কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

সাশ্রয়ের নামে নিম্নমানের বই! : ছাপানো শুরু হয়নি, বছরের প্রথমদিন সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া অনিশ্চিত

পরের সংবাদ

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট : মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার দাবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম’ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা বলেছেন, শুধু রাজনীতি নয়, বাংলাদেশে তার বসবাসেরও অধিকার নেই। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছেন জোটের নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে জোট নেতারা এ দাবি জানান।
জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, জোটের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী, সহসভাপতি কামাল পাশা চৌধুরী, জোটের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সঙ্গীতা ইমাম, অনন্ত হীরা, রেজিনা ওয়ালী লীনা, মিলন কান্তি দে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মানজার চৌধুরী সুইট।
নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বলেন, কয়েক হাজার বছরের বাঙালির সংস্কৃতি তাতে বাংলাদেশ কখনোই পাকিস্তানে পরিণত হবে না। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও আদর্শিক বাস্তবতার সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির তফাৎ অনেক। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ভাগ হয়ে অনেক ভালো আছে। যাদের এই এগিয়ে যাওয়া ভালো লাগে না তারা পাকিস্তানে চলে যাক।
মিনু হক বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর। মির্জা ফখরুলের যদি এতই খারাপ লাগে, তবে তিনি এখানে রয়ে গেছেন নির্লজ্জের মতো? কেন পাকিস্তানে চলে যান না?
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মির্জা ফখরুল দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের মহাসচিব। তার বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্ত করছে, ইতিহাসের চাকাকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়। তার ওই বক্তব্য প্রমাণ করে বিএনপির পাকিস্তান প্রীতিকে।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, তারা আজ এমন কিছু দলের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য করেছে, যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। এখন তারা নতুন নতুন কৌশল নিয়েছে রাজনীতিতে, কিন্তু তাদের রাজনীতির ধারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। তারা সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চায়। মির্জা ফখরুল মুখ ফসকে সেই সত্য কথাটি বলে দিয়েছেন।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মির্জা ফখরুল দেশের স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গিয়ে যে কথা বলছেন, তাতে একাত্তরের ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা বোনকে অপমান করা হয়। তাকে এই বক্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়।
সঙ্গীতা ইমাম বলেন, মির্জা ফখরুলের এই ধৃষ্টতামূলক বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে বিচারের আওতায় আনা হোক। একই সঙ্গে বলতে চাই, এ কাণ্ডে মির্জা ফখরুলের শুধু রাজনীতি নয়, এ দেশে থাকার অধিকারও নেই।
আহকাম উল্লাহ বলেন, আজকে ঘুমের ঘোরে হোক বা জাগরণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে কথা বলেছেন, তাতে পাকিস্তানের সেই শক্তি যারা একাত্তরে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল, তাদের কথাই উচ্চারিত হয়। এই শক্তি কখনো মন্দির ভাঙে, নারীর টিপ পড়ার স্বাধীনতা হরণ করতে চায়, আবার কখনো নারীর পোশাক নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়