নোয়াখালী প্রতিনিধি : সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের চরউরিয়ায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) নোয়াখালী এগ্রো সার্ভিস প্রদর্শনী কেন্দ্রে নারিকেল বীজ ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চলতি মৌসুমে বিএডিসির উদ্যান উন্নয়ন বিভাগ ও এগ্রো সার্ভিস সেন্টার কার্যক্রমের আওতাধীন খামারসমূহে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নারিকেল চারা উৎপাদনের নিমিত্তে ২২ হাজার নারিকেল বীজ কৃষক পর্যায় থেকে ক্রয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়। এতে কৃষকদের কাছ থেকে প্রতিটি নারিকেল বীজ ৬৮ টাকা দরে ক্রয়ের জন্য বলা হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, এগ্রো সার্ভিস প্রদর্শনী কেন্দ্রের উপপরিচালক নুরুল আলম কৃষকদের কাছ থেকে উন্নতমানের নারিকেল বীজ সংগ্রহ না করে নিজে এবং স্থানীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আড়ত থেকে নিম্নমানের বীজ সংগ্রহ করেছেন।
এতে নিম্নমানের নারিকেল বীজের মূল্য প্রতি পিস ৬৮ টাকা নির্ধারণ করে তিনিসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। চরউরিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী, মাহবুবুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, আবুল হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানান, এখানে কৃষকদের কাছ থেকে নারিকেল বীজ সংগ্রহের কথা বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে তাদের কাছ থেকে কোনো বীজ সংগ্রহ করা হয় না। এগ্রো সার্ভিস প্রদর্শনী কেন্দ্রের কর্মকর্তারা নিজেদের সিন্ডিকেট তৈরি করে কৃষকের ভুয়া তালিকা তৈরি করে নারিকেল আড়ত থেকে নিম্নমানের নারিকেল সংগ্রহ করেন। এতে বীজ তলায় নারিকেলের চারার স্বাভাবিক উৎপাদন হয় না।
কৃষকের কাছ থেকে নারিকেল বীজ সংগ্রহ না করার বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন নোয়াখালী এগ্রো সার্ভিস প্রদর্শনী কেন্দ্রের উপপরিচালক নুরুল আলম বলেন, এখানে নারিকেল বীজ সংগ্রহে প্রতি বছর রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। তাই কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ না করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হয়।
এতে কোনো ধরনের অনিয়মে আমাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোশরেফুল হাছান চন্দন বলেন, গত বছর ওই বীজতলায় নারিকেল ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে আমাকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছিল। তখন নারিকেল ক্রয়ের আগে উপপরিচালক আমাদের সঙ্গে মিটিং করেছিলেন। এবার আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। তাই এ বিষয়ে আমি অবগত নই।