কাগজ প্রতিবেদক : এনআরবি গেøাবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। মামলার বাদী দুর্নীতি

দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মাধ্যমে আলোচিত এ মামলায় বিচার কাজ শুরু হলো।
মামলায় পি কে হালদার এবং আরো ৯ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার ৪ জন এখন জেলহেফাজতে আছেন। তারা হলেন- পি কে হালদারের আইনজীবী সুকুমার মৃধা, তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল ও আত্মীয় শঙ্খ বেপারি।
গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তার জবানবন্দি দেয়া শেষ হলেও জেরা শেষ হয়নি। এ জন্য আদালত আগামী ১৩ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। শুনানির সময় আসামি অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারি, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়।
পলাতকরা হলেন- পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর একই আদালত পি কে হালদারসহ আরো ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার শুরু থেকেই পি কে হালদার পলাতক রয়েছেন। গত ১৪ মে ভারতের চব্বিশ পরগনায় গ্রেপ্তার হন পি কে হালদারসহ ৫ জন।