এসপি হলেন পুলিশের ৪৭ কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

সাশ্রয়ের নামে নিম্নমানের বই! : ছাপানো শুরু হয়নি, বছরের প্রথমদিন সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া অনিশ্চিত

পরের সংবাদ

ঢাবিতে শ্রæতিলেখন পুরস্কার পেলেন ১৬ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময়ে শ্রæতিলেখনীতে সাহায্য করাসহ নানা সহায়তা দেয়ায় চারটি ভিন্ন ক্যাটারগরিতে ১৬ জন শ্রæতিলেখককে পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই পুরস্কার তুলে দেন।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড্ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (ডিইউপিডিএফ) উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাইটিং ব্যাংক, ভয়েজ ব্যাংক, ক্রিয়েটিভিটি ও কনসালট্যান্ট সাপোর্ট এই চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। ডিইউপিডিএফ-এর সভাপতি তানভির আহম্মেদ তন্ময়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, টিকে গ্রুপ-এর ডিরেক্টর অব মার্কেটিং মোফাজ্জল হক এবং সংগঠনটির মডারেটর তাওহিদা জাহান ছিলেন বিশেষ অতিথি।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি তুলে ধরে এসময় পিডিএফ-এর টিমলিড মো. নাজমুস সাকিব বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যেন উদাহরণ হয়ে থাকে যে এখানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা বাধাহীনভাবে তাদের মেধা প্রকাশের সর্বোচ্চ সুযোগ পাচ্ছে। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই কাজটি করবে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাশরিফা তারাননুমের সঞ্চালনায় এসময় উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে শ্রæতিলেখকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শ্রæতি লেখনীর মাধ্যমে অন্যের জন্য কাজ করার মাধ্যমে প্রচ্ছন্নভাবে নিজেরই উপকার হয়। যারা শ্রæতিলেখকের কাজ করে থাকেন তারা বিভিন্ন সেমিনার, সভার বক্তব্যগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন। এতে তাদের নতুন একটি গুণের বিকাশ ঘটে।
বক্তব্যে ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড্ শিক্ষার্থীদের অল্পতেই সন্তুষ্টি প্রকাশের বিষয়টির প্রশংসা করেন উপাচার্য। এসময় তাদের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, টিএসসি এবং নিজেদের বিভাগমুখী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও উপস্থিতি গভীরভাবে প্রকাশিত হবে। তাহলেই প্রাতিষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলা প্রশাসনের কাছে সহজ হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়