এসপি হলেন পুলিশের ৪৭ কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

সাশ্রয়ের নামে নিম্নমানের বই! : ছাপানো শুরু হয়নি, বছরের প্রথমদিন সব শিক্ষার্থীর বই পাওয়া অনিশ্চিত

পরের সংবাদ

কর্ণফুলী পেপার মিলে ২ হাজার টন কাগজ অবিক্রীত : এক মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ ইলিয়াছ, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কর্ণফুলী পেপার মিলে (কেপিএম) ২ হাজার টন কাগজ অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কাগজ ক্রয়কারী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গত অর্থবছরে কোনো কাগজ নেয়নি সরকারি এই মিল থেকে। সংস্থাটি এই মিলের কাগজ ক্রয় করলে এই সংকট দূর হতো বলে মনে করেন মিল সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বিদেশি পাল্পের অভাবে গত এক মাস ধরে কাগজ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মিল সূত্রে জানা যায়, কারখানায় উৎপাদিত টন টন কাগজ বিক্রি না হওয়ায় গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে কেপিএম থেকে এনসিটিবি কোনো কাগজ নেয়নি। অথচ কেপিএমের উৎপাদিত অধিকাংশ কাগজ এনসিটিবি নিত। ২০২০-২১ অর্থবছরে কেপিএম থেকে মাত্র এক হাজার টন কাগজ নিয়েছে এনসিটিবি। গত দুই বছরে কারখানায় প্রায় ৫ হাজার টন কাগজ উৎপাদন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, এনসিটিবিসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাগজ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অবিক্রীত অবস্থায় প্রায় ২ হাজার টন কাগজ গুদামে পড়ে আছে বলে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা জানিয়েছেন। দ্রুত বিপণন করা না গেলে কোটি কোটি টাকার কাগজ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। দীর্ঘদিন ধরে কাগজ উৎপাদন না করায় চিরতরে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা অজানা আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন।
এদিকে কারখানা থেকে অন্যত্র বদলি হওয়া শতাধিক স্টাফ মিলের নিয়ম না মেনে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহার করছে। অবৈধভাবে বাসবাসকারী শ্রমিকদের বাসা ছেড়ে দিতে বার বার নোটিস দেয়ার পরও বাসা ছাড়ছেন না তারা। অবৈধ বাসিন্দাদের দ্রুত উচ্ছেদ করা গেলে মিলের লাখ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে। মিলের ব্যয় কমাতে ইতোমধ্যে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বিল বকেয়া থাকায় একাধিক দোকান ও বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়া হয়েছে বলে মিলের ব্যবস্থাপনা সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের আবাসিক কলোনিতে দৈনিক ১০ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে, অথচ একই এলাকায় অফিসার বাংলোতে কোনো লোডশেডিং নেই। একই এলাকায় দ্বৈত নীতিকে চরম বৈষম্য বলে শ্রমিক-কর্মচারীরা মনে করছেন।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিদেশি পাল্প ও প্রয়োজনীয় ছেঁড়া কাগজ না পাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়