রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয় : কাদের

আগের সংবাদ

সাফ জয়ীদের লাগেজ ভাঙল কে

পরের সংবাদ

হাসনাতের অনশন ভাঙালেন ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রেজিস্ট্রার ভবনের জটিলতায় সৃষ্ট নানা রকম হয়রানি বন্ধসহ আট দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসা ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর অনশন ভাঙালেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে প্রায় ২৭ ঘণ্টা পর পানি পান করিয়ে হাসনাতের অনশন ভাঙান উপাচার্য। দাপ্তরিক কাজের জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে আর রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে যেতে হবে না ঘোষণা দিয়ে এ সময় উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব কাজ তার সংশ্লিষ্ট হল এবং বিভাগেই সম্পন্ন হবে। সেখানে আমাদের লোকবল দেয়া আছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে।’
উপাচার্য আরো বলেন, ‘আমাদের কোনো শিক্ষার্থী যেন রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে এসে তার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে। সে সময়টিতে তারা যেন পড়াশোনা করে, সেমিনার রুমে আড্ডা দেয় এবং লাইব্রেরিতে যায়। কোনোক্রমেই কোনো কাজেই তারা রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে আসবে না। সব কাজ তার সংশ্লিষ্ট হল এবং লাইব্রেরিতে সম্পাদন হবে। আজ থেকে এই কার্যক্রম চালু হবে। তবে সেখানে কেউ হয়রানি হলে প্রভোস্ট এবং চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, সহকারী প্রক্টর ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে উপাচার্যের এ ঘোষণায় আনন্দ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘আট দফা দাবি বাস্তবায়নে আমরণ অনশন সফল’, ‘লাঞ্চের পরে আসুন বলা বন্ধ হয়েছে’, ‘আলহামদুলিল্লাহ দাবি বাস্তবায়ন হয়েছে’ লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড দেখা যায়।
অনশন ভাঙানোর পর হাসনাতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে গত ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে আট দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। সে সময় তিনি উপাচার্যকে স্বারকলিপি এবং দাবি পূরণে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। পরে দাবি পূরণ না হওয়ায় ফের গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। এরপর গত মঙ্গলবার অনশনে বসেন তিনি। বুধবার পানি পান করিয়ে হাসনাতের অনশন ভাঙান উপাচার্য।
আট দফা হলো- শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন করা। প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজড করা। নিরাপত্তা ও হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে অফিসগুলোর অভ্যন্তরে প্রতিটি রুমে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা। প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারিত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করা। প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থিত কর্মচারী ইউনিয়ন অফিস বাধ্যতামূলক তাদের ক্লাবগুলোতে স্থানান্তর নিশ্চিত করা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচারণা পরিবেশবান্ধব করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়