রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয় : কাদের

আগের সংবাদ

সাফ জয়ীদের লাগেজ ভাঙল কে

পরের সংবাদ

মান্দায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়ম : ডিজিটাল ডাটাবেজ থেকে বাদ পড়েছেন হতদরিদ্ররা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাজ্জাদুল তুহিন, মান্দা (নওগাঁ) থেকে : মান্দায় ডিজিটাল তথ্যে সংযুক্তকরণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন অনেক হতদরিদ্র পরিবার। এ নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না সুবিধাভোগীরা। পুরনো তালিকার সুবিধাভোগীদের নাম বাদ দিয়ে ইচ্ছেমতো পছন্দের লোকজনের নাম দিয়ে তালিকা প্রণয়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে তালিকা চাইলে তা নিয়েও তালবাহানা করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ।
জানা গেছে, ডিজিটাল তথ্যে নাম সংযুক্তকরণে অনেক সুবিধাভোগীর তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার কারণে তারা প্রতিনিয়ত ধরনা দিচ্ছেন উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কাছে। কিন্তু কোনো সুফল পাচ্ছেন না তারা। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইউনিয়ন পরিষদের কর্তাদের পছন্দের লোকজনদের অন্তর্ভুক্ত করেছে ডিজিটাল তালিকায়। অনেক সুবিধাভোগী জীবিত এবং এলাকায় থাকার পরও কারণ ছাড়াই বাদ পড়ছেন। চেয়ারম্যানদের অপছন্দ অথবা নির্বাচনী প্রতিহিংসার কারণে অনেকের নাম বাদ দিয়ে পছন্দের লোকজনের নাম দিয়েছেন ডিজিটাল তালিকায়। এ নিয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন আগের তালিকাভুক্ত কার্ডধারী সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা। অনেক সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে কার্ড জব্দ করেছে ইউনিয়ন কর্তারা। এরপর আর ফেরত দেয়নি তাদের কার্ড। কেন জিডিটাল তথ্যে তালিকায় তারা বাদ পড়ে যাচ্ছেন, এর সদুত্তর দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এনিয়ে উপজেলাজুড়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করতে ডাটাবেজ আপডেট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়। তালিকা প্রস্তুত করে তা সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিলে তা অনুমোদন করা হবে। সেক্ষেত্রে উপকারভোগীর ছবি ও তথ্য সংযোজন করতে হবে। ভুক্তভোগীরা জানান, অকারণে অনেক অসহায় ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন তারা। এনিয়ে উপজেলার পূর্বের অনেক সুবিধাভোগী ব্যক্তি খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা মিলেনি তাদের কপালে। উপজেলার ডিলাররা জানান, যারা ডিজিটাল কার্ড নিয়ে চাল নিতে আসবে আমরা তাদের চাল দেব। এমন নির্দেশনা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার। নাম পরিবর্তনের বিষয়ে এবং অভিযোগের কিছু তথ্য চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মামুন আর রশীদ তথ্য না দিয়ে গড়িমসি শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি নিউজটি আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন, কয়েকজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে না পেরে কিছু অনিয়ম হয়েছে। আর কিছু কিছু কার্ড সংশোধন করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা থেকে অসহায় ব্যক্তিদের নাম পরিবর্তন ও অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়