রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয় : কাদের

আগের সংবাদ

সাফ জয়ীদের লাগেজ ভাঙল কে

পরের সংবাদ

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক : জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হতে পারে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকার প্রাক্কলন করেছিল, চলতি অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ধরে রাখবে। কিন্তু দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় এবং বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এছাড়া চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। সংস্থাটির ধারণা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়বে। যদিও সরকার দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। বৈশ্বিক অস্থিরতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় চলতি বছরে গত বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে জানিয়েছে এডিবি।
গতকাল বুধবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২৩ প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়। এ উপলক্ষে এডিবির ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে এডিবির সিনিয়র কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যাঙ হং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট

আউটলুকের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এছাড়া বক্তব্য দেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।
এডিবি জানায়, বৈশ্বিকভাবে খাবারের দাম বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের দামে অস্থিরতায় মূল্যস্ফীতির হার বাড়বে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে বৈশ্বিকভাবে খাদ্য সরবরাহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এসব কারণে মূলত বাড়ছে নানা পণ্যের দাম। বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করে এডিবি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তাকে চিহ্নিত করেছে এডিবি। এছাড়া আমদানি কমে যাওয়া এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চলতি হিসাবের ঘাটতি ২০২২ অর্থবছরে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার কারণে সৃষ্ট মন্থর রপ্তানি এই বৃদ্ধির প্রধান ঝুঁকি।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, সরকার দীর্ঘায়িত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে তুলনামূলক ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে এবং এই অসম পরিস্থিতির ব্যবস্থাপনায় উপযুক্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন করেছে। তবে এ ধরনের সময় মধ্যম পর্যায়ে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য সংস্কারের জন্য উপযুক্ত। এ ধরনের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহারের উপযোগিতা বাড়ানো, অর্থ বাজারের উন্নয়ন এবং বেসরকারি খাতে ফলপ্রসূ চাকরি তৈরির জন্য প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের প্রচার।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের অনিশ্চয়তা সংস্কার কর্মসূচিকে গতিশীল করার ভালো নিয়ামক হতে পারে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্য অর্জন এবং স্থানীয় টেকসই জ্বালানির সরবরাহ সম্প্রসারণের মাধ্যমে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমতে পারে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২২ এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও জ্বালানি ঘাটতির কারণে বেসরকারি বিনিয়োগের বৃদ্ধি কম হবে। একইসঙ্গে সরকারের কৃচ্ছ্র ব্যবস্থার ফলে রাজস্ব বৃদ্ধির ধীরগতি, উচ্চ আমদানি খরচ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি মন্থর হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়