রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয় : কাদের

আগের সংবাদ

সাফ জয়ীদের লাগেজ ভাঙল কে

পরের সংবাদ

এলপি গ্যাসের দাম সহনীয় রাখুন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে গ্যাসের সিলিন্ডার মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি একাধিক অভিযান চালিয়ে এর প্রমাণও পেয়েছে। বাজারে গ্যাসের সিলিন্ডারপ্রতি ভোক্তাকে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। দেশের বেশির ভাগ স্থানে গ্যাস লাইনের সুবিধা না থাকায় বিশেষ করে দৈনন্দিন রান্নার কাজে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়। এমনিতেই জ¦ালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনসাধারণের ভোগান্তি ও খরচ আকাশছোঁয়া। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দরিদ্র, নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি রাখতে পারছেন না। আয় না বাড়লেও ব্যয় অনেক বেড়ে যাওয়ায় তারা রয়েছেন নিদারুণ যন্ত্রণায়। এর মধ্যে সিলিন্ডারপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা বেশি খরচ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ভোক্তাদের এমন হয়রানি খুবই দুঃখজনক। বরাবরই দেখা যায়, এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে মজুত করে রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এমন সিন্ডিকেট সব সেক্টরেই আছে। বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অভিযান চললেও এদের মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। কেউ কেউ কিছু জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যায়। এলপিজির দাম বৃদ্ধির পেছনে এমন চক্র কাজ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। সরকার নির্ধারিত দামের বেশি নেয়া হলে অভিযান চালিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। এলপি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণে উৎপাদনকারী, বাজারজাতকারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয়, সমঝোতা ও আন্তরিকতা না থাকলে তার মাশুল দিতে হয় জনসাধারণকে, যা মোটেও কাম্য নয়। এলপি গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম, ডলারের দাম, আমদানি খরচ এবং জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বাড়লেও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এসব আমলে না নিয়ে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। বিইআরসির নির্ধারিত দাম প্রকৃত দামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে বিইআরসিকে ভূমিকা রাখতে হবে। যে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে সেটা যাতে ভোক্তাবান্ধব হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ জরুরি। ডিলার ও বিক্রেতাদের অভিযোগ, অপারেটর কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফা কমিয়ে দিয়েছে। এতে তাদের লাভ না থাকায় চড়া মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে সিলিন্ডার। মূলত সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে বাজার ব্যবস্থায়। অবিলম্বে এর সমাধান করা দরকার। সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। জনস্বার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম সহনীয় রাখতে হবে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্যে যেন কোনোভাবেই কোনো ডিলার, খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী বিক্রি করতে না পারে সেদিকে কর্তৃপক্ষের সচেতন নজরদারি ও অভিযানের বিকল্প নেই। ভোক্তারা নির্ধারিত দামে সিলিন্ডার না পেয়ে যে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তা বন্ধে অবিলম্বে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়