করোনা পরিস্থিতি : সংক্রমণের হার ১১.৬০ শতাংশ

আগের সংবাদ

খোলা ছাদে খুশির নিনাদ : মেয়েদের ঘিরে শোভাযাত্রায় লাখো মানুষ

পরের সংবাদ

১৮ গুণীসহ ২ প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে শিল্পকলা পদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ১৮ গুণীজন এবং ২ প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে শিল্পকলা পদক। গত দুই বছরে করোনা মহামারি শিল্পকলা থেকে অর্থনীতির চাকা সবকিছু স্তব্ধ করে দিয়েছিল। যে কারণে শিল্পকলা পদক স্থগিত থাকায় এ বছর ২০১৯ ও ২০২০ সালের পদক একসঙ্গে দেয়া হচ্ছে। দুই বছরে ২ প্রতিষ্ঠান এবং ৯ ব্যক্তিসহ ১৮ জন পাবেন এই পদক।
আগামিকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নির্বাচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পদক বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, এবং সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর।
সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম খালিদ এবং স্বাগত বক্তব্য দেবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনা ও পদক দেয়া শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২০২০ সালের শিল্পকলা পদক পাবেন- নাট্যকলা বিভাগে মাসুদ আলী খান, কণ্ঠসংগীত বিভাগে হাসিনা মমতাজ, চারুকলা বিভাগে আবদুল মান্নান, চলচ্চিত্র বিভাগে অনুপম হায়াৎ, নৃত্যকলা বিভাগে লুবনা মারিয়াম, লোকসংস্কৃতি বিভাগে শুম্ভু আচার্য্য, যন্ত্রসংগীত বিভাগে মনিরুজ্জামান, ফটোগ্রাফি এম এ তাহের, আবৃত্তি বিভাগে হাসান আরিফ ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে ছায়ানট।
২০১৯ সালের শিল্পকলা পদক পাবেন- নাট্যকলা বিভাগে মলয় ভৌমিক, কণ্ঠসংগীত বিভাগে মাহমুদুর রহমান বেণু, চারুকলা বিভাগে শহিদ কবীর, চলচ্চিত্র বিভাগে শামীম আখতার, নৃত্যকলা বিভাগে শিবলী মোহাম্মদ, লোকসংস্কৃতি বিভাগে শাহ আলম সরকার, যন্ত্রসংগীত বিভাগে মো. সামসুর রহমান, ফটোগ্রাফি আ ন ম শফিকুল ইসলাম স্বপন, আবৃত্তি বিভাগে ডালিয়া আহমেদ ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে দিনাজপুর নাট্য সমিতি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সংবাদ

সম্মেলনে ২০১৯-২০ সালের গুণীজন পদক সম্পর্কে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এসব কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব মো. আসাদুজ্জামানসহ একাডেমির কর্মকর্তারা।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, তৃণমূলপর্যায়ে যারা মূলধারার সংস্কৃতির চর্চায় অবদান রেখে চলেছেন তাদের সম্মানীত করতে এ উদ্যোগ।
বিশেষ করে বাঙালি জাতির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম ও অর্জনে এ দেশের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা নাটক, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চিত্রকর্মসহ শিল্পের সব শাখার মাধ্যমে তাদের অপরিসীম অবদান রেখেছেন। হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের লালন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে তারা নিঃস্বার্থভাবে অবদান রেখে চলেছেন। দেশের শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে জাতীয়পর্যায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গুণীজনদের অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে ‘শিল্পকলা পদক’ দেয়া হয়।
লিয়াকত আলী লাকী আরো জানান, মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে যে সাংবাদিকরা কাজ করেন তাদেরও পদকে ভূষিত করার চেষ্টা চলছে। খুব শিগগিরই এ প্রস্তাব পাস হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ২০১৩ সালে ৭ গুণীকে পুরস্কার দেয়ার মধ্য দিয়ে শিল্পকলা পদক দেয়া শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য গত ছয় বছরে ৪২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদক দেয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ১৬ সদস্যের কমিটি প্রতি বছর পদকের জন্য গুণীজন নির্বাচন করে থাকেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন ড. সনজিদা খাতুন, মুস্তফা মনোয়ার থেকে শুরু করে গুণী ব্যক্তিত্বরা।
শিল্পকলা পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একটি স্বর্ণপদক, সনদপত্র ও এক লাখ টাকা করে পেয়ে থাকেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়