করোনা পরিস্থিতি : সংক্রমণের হার ১১.৬০ শতাংশ

আগের সংবাদ

খোলা ছাদে খুশির নিনাদ : মেয়েদের ঘিরে শোভাযাত্রায় লাখো মানুষ

পরের সংবাদ

স্বপ্না ও সোহাগীর গ্রামে আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. মোবারক আলী, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) থেকে : সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গত সোমবার নেপালকে ৩-১ গোলে হারায় দেশের বাঘিনীরা। এবারই প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের স্বাদ পায় তারা।
ইতিহাস গড়া এ খেলায় অংশগ্রহণ করে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির দুই কৃতী খেলোয়াড় স্বপ্না রাণী ও সোহাগী কিসকু। বাংলাদেশের এমন জয়ে আনন্দ ও উদ্দীপনা নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে তাদের বাড়িতে এখন ভিড় করছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানায়, কুঁড়েঘরে শ্রমজীবী বাবার ঘাম ঝরা আদরে বেড়ে ওঠা স্বপ্না রাণী এবং বর্গাচাষি বাবার মেয়ে সোহাগী কিসকু আজ দেশের সম্পদ।
দরিদ্র স্বপ্না রাণীর বাবা নিরেন চন্দ্র ভোরের কাগজকে বলেন, ‘আমার তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার ছোট স্বপ্না। আজ সে জাতীয় দলের খেলোয়াড়। শুধু দারিদ্র নয়, একসময় ধর্মীয় কুসংস্কারের সঙ্গে আমার পরিবারকে লড়াই করতে হয়েছে। টিপ্পনী কেটে অনেকেই বলত মেয়েদের হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলা ঠিক না। তাহলে নাকি বিয়ে দেয়া মুশকিল হয়ে পড়বে। কিন্তু সে বাধা উপেক্ষা করে আমার মেয়ে প্রতিদিন খেলার মাঠে যেত। তার খেলার সামগ্রী বুট, জার্সি, ওষুধ এবং মাঠে যাওয়ার জন্য একটি বাইসাইকেল কিনে দেন রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।’
সোহাগী কিসকুরের বোন ইপিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল জয়ী হয়েছে। এতে আমার বোন রয়েছে। আমরা সবাই খুশি। আর ঠাকুরগাঁও জেলাবাসীও গর্বিত। তবে গরিব ও মেয়ে হওয়ার কারণে আমার বোনের জার্নিটা এত সহজ ছিল না।’
রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড প্রমিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমাদের জন্য গর্ব। এজন্য বাংলাদেশ দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। এ বিজয় আমাদের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য একটু বেশি গর্বের। কারণ আমাদের জেলার স্বপ্না ও সোহাগী দুজনেই খেলোয়াড়।’
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুরকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘প্রথমত বাংলাদেশ ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে এ উপজেলার দুজন খেলোয়াড় জাতীয় দলের হয়ে খেলায় আমরা গর্বিত। আগামী ৫ অক্টোবর ছুটিতে আসলে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়