করোনা পরিস্থিতি : সংক্রমণের হার ১১.৬০ শতাংশ

আগের সংবাদ

খোলা ছাদে খুশির নিনাদ : মেয়েদের ঘিরে শোভাযাত্রায় লাখো মানুষ

পরের সংবাদ

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন : জেলেদের আর্থিক সহায়তা ও রেশন বাড়ানোর সুপারিশ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জেলেদের নির্ভুল তালিকা তৈরি, পরিচয়পত্র দেয়া এবং মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেয়ার সুপারিশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। একই সঙ্গে রেশনিংয়ের পরিমাণ বাড়ানোরও সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘জেলে কার্ড পাওয়ার বিষয়ে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা ও কিছু সুপারিশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সুপারিশ করেন।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শেখ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, জেলে বাস করে এমন এলাকার মোট ৮ হাজার ৬৪৪টি পরিবারের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। এসব পরিবারে মোট সদস্য ৪২ হাজার ৮৯৬ জন। ৯৯ শতাংশ পরিবারই শুধুমাত্র মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল। ২২০ জন কিশোর জেলে পেশায় নিয়োজিত। অথচ এই পেশাকে এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে শিশুশ্রম বা শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়নি।
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলেদের মধ্যে মাত্র ৪২ শতাংশ জেলে কার্ডধারী। ২০২০ সালে তালিকা হালনাগাদ করার সময় অনেকে সাগরে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত থাকায় তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা যায়নি। অন্যদিকে, জেলা ও উপজেলা মৎস্য অফিসের লোকবলের সংকট থাকায় তাদের হালনাগাদ করার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় সরকারের বিশেষত ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তা নিতে হয়। এতে করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে জেলে না হলেও অনেকের নাম জেলে তালিকাভুক্ত হয়। আবার অনেক প্রকৃত মৎস্য শ্রমিকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা অর্থসংকটে ভোগেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় ৪৫ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাশাপাশি জাল বোনা বা মেরামত, কৃষিকাজ, লুকিয়ে মাছ ধরা, শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ, রিকশা বা অটোরিকশা চালানো, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে সংসারের ব্যয় নির্বাহের চেষ্টা করেন।
গবেষণায় বলা হয়, সরকারের বরাদ্দকৃত চাল জেলেরা সঠিক পরিমাণে পায় না। যা পায় তাও তাদের প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট না। ৭৫ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় আর্থিক সংকটে দিনযাপন করেন। পাথরঘাটায় ৬৬ শতাংশ এবং কুতুবজোমে ৮১ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক আর্থিক সংকটে পড়েন। আর্থিক সংকট মোকাবিলায় ৫৩ দশমিক ৯ শতাংশ মৎস্য শ্রমিক উচ্চ সুদে এবং ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ বিনা সুদে টাকা ঋণ নিতে বাধ্য হন।

আলোচনা সভার সভাপতি বনশ্রী মিত্র বলেন, একটা পরিবারে অন্তত মাসে ৫ হাজার টাকা ও ৬০ কেজি চাল প্রয়োজন হয়। যদি এটা বাস্তবায়ন করা হয়, তবেই জেলেরা একটু স্বস্তিতে থাকতে পারবেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক ফেডারেশনের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন জেলে সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়