নওয়াপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি : নওয়াপাড়ায় বিদেশ থেকে আমদানি করা ভর্তুকির ১২০ টন ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার চুরির ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে এ সার চুরির ঘটনা ঘটে। যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সোমবার এবং গতকাল মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ৭৯ টন সার উদ্ধার করেছে। চুরির অভিযোগে পুলিশ নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জেলা পুলিশের পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাহিরঘাট গ্রামের হুমায়ুন কবির, একই উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের সোহাগ হোসেন ও ধোপাদী গ্রামের তরিকুল ইসলাম, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের অনিমেষ শিকদার, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কলমিগুনিয়া গ্রামের ভূপাল সরকার, পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম শিকারপুর গ্রামের ফয়সাল মোরশেদ সজীব, একই উপজেলার ঝাটকাঠি গ্রামের লিখন সরকার ও কুমিরমারা গ্রামের আক্কাছ আলী শিকদার এবং বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মেছেরশাহ সড়কের পারভেজ আহম্মেদ রাজু।

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, সরকারের ভর্তুকি দেয়া ডিএপি সার আমদানির দরপত্র পায় যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসাসর্ভু আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে ১ হাজার ৩০০ টন ডিএপি সার আমদানি করে। বড় জাহাজে করে মংলা বন্দরে সার আনার পর ওই সার দুটি ছোট জাহাজে (লাইটার) করে যশোর নওয়াপাড়া নৌবন্দরে আনা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বন্দরে নোঙ্গর করার আগে দুটি জায়গায় জাহাজ থেকে কর্মীদের সহায়তায় অজ্ঞাত চোরেরা ১২০ টন সার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ওসি রূপন কুমার সরকার জানান, মামলা দায়েরের পর সার উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করা হয়। এরপর সোমবার ও মঙ্গলবার যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া, বাগেরহাট, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুসারে চুরি হওয়া ১২০ মেট্রিক টন সারের মধ্যে ৭৯ টন (১ হাজার ৬৬৬ বস্তা) সার উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, আটক নয় জনকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।