স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

নরসিংদীর বেলাব : অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বেলাব (নরসিংদী) প্রতিনিধি : নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দক্ষিণধরু উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া ও প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে দ্ব›দ্ব। এর জেরে প্রায়ই একে অপরের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন তারা। সম্প্রতি নানা অনিয়ম ও শিক্ষকদের অনাস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে পরিচালনা পর্ষদ। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকও অনিয়মের অভিযোগ এনে সভাপতির বিরুদ্ধে বোর্ডে অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগ না নেয়ার কারণেই এই দ্ব›েদ্বর শুরু। তারপর থেকেই প্রধান শিক্ষক আবু তাহের পরিচালনা পর্ষদকে অসহযোগিতা করে আসছেন। শিক্ষকদের সঙ্গেও যথাযথ আচরণ করেন না তিনি। যার কারণে গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের ওপর অনাস্থা দিয়েছেন অন্য শিক্ষকরা। এই প্রেক্ষাপটে পরিচালনা পর্ষদ সাময়িক বরখাস্ত করেছে ওই প্রধান শিক্ষককে।
বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষকের স্থলাভিষিক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. বাহাউদ্দীন ভূঞা বলেন, প্রধান শিক্ষক আবু তাহের বর্তমান কমিটিকেই মানেন না। সহকর্মীদের সঙ্গেও তার আচরণগত ত্রæটি আছে। এসব কারণে আমরা অনাস্থা দিয়েছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক কোনো মিটিংয়ে আসেন না। উল্টো নোটিস খাতা ও রেজুলেশান বই বাড়িতে নিয়ে যান। তার নানা অনিয়ম ও কার্যকলাপে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও শিক্ষকরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন। শিক্ষকদের অনাস্থার ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু তিনি আমাকে হেয় করার জন্য বোর্ডে মিথ্যা একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবু তাহের বলেন, সভাপতির বিরুদ্ধে আমি বোর্ডে একটি অভিযোগ দিয়েছি। যা চলমান। এ অভিযোগের তদন্তকালীন সময়ে তিনি আমাকে সাময়িক বরখাস্ত বা অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মতিউর রহমান বলেন, সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের দেয়া একটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিস দেয়ার তথ্য জানলেও সাময়িক বরখাস্তের ব্যাপারে এখনো আমি অবগত নই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়