স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

দরপতনে হতাশ কৃষক : ঝিনাইদহে মরিচের কেজি ২০ টাকা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের দরপতন হয়েছে। ৩ সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি মরিচ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ সেই মরিচ এখন বাজারে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মরিচের ভরা মৌসুমে দরপতনে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। কৃষকরা জানান, এখন প্রতি কেজি মরিচ জমি থেকে উঠাতে খরচ হচ্ছে ১০ টাকা আর বাজারে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে রকম ভেদে ২৫ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা দরে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় ১ হাজার ৭২৪ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। সদর উপজেলার চণ্ডিপুরের মরিচ চাষি মিজানুর রহমান বলেন, মরিচ চাষের জন্য সার কিনতে গেলে চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না, আবার পাওয়া গেলেও দাম বেশি। আবার কীটনাশকের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। সব মিলিয়ে এই দামে তাদের লোকসানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর, গান্না, কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দারপুর বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি মরিচ পাইকারি ২০ থেকে ২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, তারা প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী মরিচ কিনে থাকেন। কিন্তু বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ মরিচ আসছে। তাই দাম কম বেশি হচ্ছে। কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দারপুর বাজারে মরিচ বিক্রি করতে আসা সোনা মল্লিক বলেন, তিনি দুই বিঘা জমিতে নাবি মরিচ করেছেন। ভালো মরিচ ধরেছে। মরিচ তুলতে ১০ টাকা প্রতি কেজি জোন খরচ পড়ছে। বাজারে আনতে পরিবহন খরচ ও খাজনাসহ নানাভাবে খরচের পর টাকা পাই। এই দামে খরচের টাকাই উঠছে না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজগর আলী বলেন, নতুন গাছে মরিচ আসছে। তাছাড়া মরিচ গাছের উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় ফলন বেশি হয়েছে। তিনি আরো জানান, কোনো কোনো মরিচ গাছে ২ কেজি পর্যন্ত মরিচ ধরেছে এ বছর। উৎপাদন ভালো হচ্ছে, যে কারণে দাম কিছুটা কম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়