স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

জেলা পরিষদ নির্বাচন : ভোটের আগে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নয়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্তভাবে শেষ করার জন্য আর কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন, ত্রাণ, অনুদান কার্যক্রম না চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে পরিষদের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ভোটের কাজে ব্যবহারসহ কোনো সুবিধা দেয়াও যাবে না বলে জানিয়েছে ইসি।
ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান গতকাল সোমবার জানান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে নির্দেশনাটি এরইমধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৪ অনুযায়ী নির্বাচনপূর্ব সময়ে অর্থাৎ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল নির্বাচন-পূর্ব সময়ে সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ বা জেলা পরিষদসমূহের এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো প্রকার চাঁদা বা অনুদান দিতে বা দেয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না। এ বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এরকম অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্টরা উল্লেখিত আচরণ বিধিমালার বিধি ৩১ অনুযায়ী দণ্ডনীয় হবেন।
আরো বলা হয়েছে- জেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের কোনো সম্পত্তি, তথ্য, অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না মর্মে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে। এমনকি মাশুল দিয়েও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থী জেলা পরিষদের দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।
এছাড়া জেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২৫ অনুসারে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রকল্পের অনুমোদন ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করতে পারবেন না। ওই বিধি অনুসারে জেলা পরিষদের তহবিল অবমুক্ত করতে পারবেন না এবং উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্পও অনুমোদন বা ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না। তবে আগে অনুমোদিত ও চলমান প্রকল্পগুলোর অর্থ অবমুক্ত, অর্থছাড় ও বিল পরিশোধ, অনুমোদিত প্রকল্পের প্রশাসনিক আদেশ জারি, চলমান প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো, প্রকল্পের খাত পরিবর্তন (রাজস্ব-মূলধন) এবং অন্যান্য কার্যক্রম নেয়া/কার্য সম্পাদন অথবা আচরণবিধি প্রতিপালনে চলমান প্রকল্পের দৈনন্দিন কাজকর্ম নিতে ইসির সম্মতির প্রয়োজন নেই বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
তবে কোনো এলাকায় অনুদান/ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত নতুন কাজ হাতে নেয়া আবশ্যক হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোট হবে ১৭ অক্টোবর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়