স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

ঘরের মাঠে ভালো করতে মরিয়া কাতার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নভেম্বরের ২০ তারিখে পর্দা উঠছে ফুটবল বিশ্বকাপের। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পাওয়া দেশটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে সব প্রস্তুতি। নিজেদের দেশে আয়োজিত হওয়া বিশ্বকাপ নিয়ে তাদের প্রত্যাশার কমতি নেই স্বাগতিকদের।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে পারস্য উপসাগরের একটি ছোট দেশ কাতার। ১৯৭১ সালে দেশটি পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব এবং পশ্চিমে বাহরাইন। এর পাশাপাশি কাতারের কাছাকাছি রাষ্ট্রগুলো হলো ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডান। দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ২৭ লাখ। তবে দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ স্থায়ী বাসিন্দা। বাকি ৮৬ শতাংশ লোকই ভিনদেশী। কাতারে প্রায় ১৫০টি দেশের লোক বসবাস করে। আবহাওয়া খুবই শুষ্ক হওয়ায় অধিকাংশ লোক রাজধানী দোহায় বসবাস করে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো কাতার।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে কাতারের প্রতিনিধিত্ব করে কাতার জাতীয় ফুটবল দল। কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কাতারের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১৯৭২ সালে কাতার ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এবং ১৯৭৪ সালে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য পদ লাভ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৯৭০ সালে কাতার বাহরাইনের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়। দলের প্রধান কার্যালয় রাজধানী দোহায় অবস্থিত। আল-আনাবি নামেও তারা আন্তর্জাতিক ফুটবলে পরিচিত। ১৯৪০ সালে কাতারে প্রথম ফুটবলের উত্থান হয়। কাতার জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ফেলিক্স সানচেস। অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হাসান আল-হাইদুস। দলের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডটিও তার দখলে। তবে দলটির শীর্ষ গোলদাতা মুবারক মোস্তফা। এখন পর্যন্ত একবারও কাতার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেনি। এবারই প্রথম স্বাগতিক হিসেবে তারা ২০২২ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। কাতারের জার্সি গায়ে হাসান আল-হাইদুস, সেবাস্তিয়ান সোরিয়া, বিলাল মুহাম্মদ রজব, আলমুয়াইজ আলী এবং খলফান ইব্রাহিমের মতো খেলোয়াড়রা অংশ নিয়েছেন। কাতার আমেরিকার বাইরের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে কোপা আমেরিকায় খেলার সুযোগ পায়। ২০১৯ সালে আমন্ত্রিত দল হিসেবে তারা কোপা আমেরিকার বাছাই পর্বে অংশগ্রহণ করে। তবে বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে অংশ নিতে পারেনি তারা। কাতার ১৯৭৭ সালে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে অংশ নেয়। তবে মূল পর্বে সেবার অংশ নিতে পারেনি আল-আনাবিরা। তবে ২০০১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে খেললেও চীনের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।
– আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়