স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

খাদ্য মন্ত্রণালয় : সরকার সঠিক দামেই গম কিনছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকার রাশিয়া থেকে বেশি দামে গম কিনছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল তা প্রত্যাখ্যান করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সঠিক দামেই গম কিনেছে সরকার। গতকাল সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা রাশিয়া থেকে গম কিনছি, এটা সত্য। টিআইবি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, গম বেশি দামে কেনা হচ্ছে। আমি সরকারের অবস্থান জানাচ্ছি। রাশিয়া থেকে গম আনা হচ্ছে, এটা মোটেও বেশি দামে নয়। এটা করা হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক দামে। এটা আমাদের জন্য প্রয়োজন ছিল। এই ক্রয়ের ফলে খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা গমের ক্ষেত্রে স্বস্তিতে আছি।
গম কেনার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্যের ‘বাফার স্টক’ রাখতে হয়। জুনে আমাদের লক্ষ্য থাকে অন্তত ২ লাখ টন গম এবং ৮ থেকে ১০ লাখ টন চাল সংগ্রহে রাখতে। জুনের মধ্যে দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সংগ্রহ এক লাখ ৫৫ হাজার টনে চলে এসেছিল। এটা মূলত আমরা ব্যবহার করি মার্জিনাল মানুষের জন্য; সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য। এটা কমে যাওয়ার পর যখন আমরা গম আনার চেষ্টা করি, তখন পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে একটি বাধা আসে যে তাদের ওখানে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ভারত থেকে আনতে পারলে আমাদের খরচ কম হয়, সময় কম লাগে, আমরা স্বস্তিতে থাকি।
তিনি বলেন, আমরা ৮ থেকে ১০টি দেশে চিঠি দিই। সব জায়গায় চেষ্টা করি যাতে এটা সংগ্রহ করা যায়।
পরে অনেকে সাড়া দেয়, এর মধ্যে আর্জেন্টিনা, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া দূরের দেশ হওয়ার কারণে পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ায় সব ক্ষেত্রেই প্রতি টন ৫০০ ডলারের বেশি দাম পড়ে যায়। রাশিয়া শুরুতে অমনোযোগী ছিল, কিন্তু পরে আমাদের যোগাযোগের পর আগ্রহী হয়। প্রথমে আমরা একটি মিটিং করি জি-টু-জি করার জন্য ২৩ জুন। এটা থেকে কোনো রেজাল্ট হয়নি। পরে আমরা কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু করি। তখন তারা রাজি হয়। ফাইনালি আমরা ২৪ আগস্ট চুক্তি করি ৪৩০ ডলার করে। একদম পরিষ্কার, যে দাম বেশি হয়নি।
সচিব বলেন, এফওবি প্রাইজ হলো যে দেশ রপ্তানি করছে সে দেশের বন্দরে দাম। এখানে কোনো রকম পরিবহন দেবে না, শুধু গম দেবে। এটার সঙ্গে আমাদের পাঁচটা ব্যয় যুক্ত হয়। লোডিং, জাহাজ ভাড়া, আনলোডিং, ইন্স্যুরেন্স, বার্থ অপারেটর হ্যান্ডেলিং এবং লাইটেনিং। এটা হয়ে আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়। যেদিন আমরা কিনেছি, সেদিন এফওবি প্রাইজ ছিল ৩৩৩ ডলারের মতো। দাম এখন ৩৩৪ দশমিক ২৫। এই বাকি খরচগুলো যুক্ত করে বাংলাদেশ লাভবানই হয়েছে। আমার দিক থেকে বলতে পারি, এখানে কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়নি। টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, তাদের (টিআইবি) মাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। এ ধরনের রিপোর্ট দিতে হলে আরো তথ্যবহুল হওয়া প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়