স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল : হামলায় ‘অতি উৎসাহী’ কোন কর্মী জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা

আগের সংবাদ

ফেনীর ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

পরের সংবাদ

করোনা সংক্রমণ বাড়ছে : স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকুন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত কয়েক দিন ধরে দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের খবর গণমাধ্যমে আসছে। গত ২৩ জুলাইয়ের পর সংক্রমণের হার কমে এলেও সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আবার বাড়তে শুরু করে। করোনার ওমিক্রন ধরনের নতুন দুটি উপধরনের কারণে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী বলে জানা গেছে আইসিডিডিআরবির গবেষণায়। গত রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় মৃত্যুশূন্য দিন থাকলেও শনাক্ত হয় ৫২৭ জন। সংক্রমণের হার ছিল ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা উদ্বেগের কারণ। উদ্বেগজনক এ সংক্রমণ ঠেকাতে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো- সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করা; যারা করোনা টিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ নেয়নি তাদের টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করা; বন্ধ স্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকা ও দাপ্তরিক সভা যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করা; অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভায় মাস্ক পরা; বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের উদ্যোগ নেয়া। নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা জরুরি। পাশাপাশি এ বিষয়ে জনগণেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সচেতন হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির দেশে করোনার মতো দীর্ঘস্থায়ী মহামারি মোকাবিলা করা সহজ কাজ নয়। একদিকে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, অন্যদিকে জীবিকা রক্ষার চেষ্টা করা- সব মিলিয়ে যে কোনো সরকারের জন্যই এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এরপরও আমরা বড় ট্র্যাজেডি এড়াতে পেরেছি। কারণ অনেক দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা এ পর্যন্ত সংক্রমণ মোকাবিলায় অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। তবু নতুন করে করোনার এই ঊর্ধ্বমুখীতে উদ্বেগ বাড়ছে- এটাই স্বাভাবিক। অনেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিলেও বুস্টার ডোজ নেননি। বুস্টার ডোজ প্রয়োগে দেশ এখনো অনেকটাই পিছিয়ে। হাতে পর্যাপ্ত টিকা থাকলেও দ্রুত সময়ে বিপুল জনগোষ্ঠীকে বুস্টার ডোজের আওতায় নিয়ে আসতে না পারা দুঃখজনক। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি জনসাধারণের সহযোগিতা কাম্য। টিকা নেয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে জনগণের সচেতনতা করোনা সংক্রমণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। করোনা ঠেকাতে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলার পাশাপাশি টিকা নেয়ার বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। সংক্রমণ কমার পর আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে যে উদাসীনতা তৈরি হয় তা কাটিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে যারা আসবেন তাদের বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনোভাবেই স্ক্রিনিং ছাড়া যেন অন্য দেশ থেকে আসা ব্যক্তি দেশে প্রবেশ করতে না পারেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা সংক্রমণ রোধে কমিটির দেয়া সুপারিশগুলো আমলে নেয়া জরুরি। যেহেতু অফিস-আদালত ও স্কুল-কলেজ চলছে পুরোদমে, তাই ভয় না পেয়ে সাবধান হতে হবে এবং সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়