হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

১২ হাজার টাকা ইজারার খেয়ায় ভাড়া ১০ টাকা : শাহজাদপুর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : শাহজাদপুরের রুপবাটি ইউনিয়নের সন্তোষা খেয়াঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সন্তোষা গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে মুকুল হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে লিখিত নির্দেশে চলতি বছরের জন্য ১২ হাজার টাকায় এ ঘাটের ইজারা দেয়া হয় তাকে। ইজারা পাওয়ার পর থেকেই তিনি সন্তোষা ঘাট থেকে বেড়া বৃশালিখা শালিখাপাড়া ঘাটে পারাপারে যাতায়াতে ২০ টাকা করে আদায় করছেন। বছরে মাত্র ১২ হাজার টাকার ইজারা নিয়ে যেখানে জনপ্রতি ভাড়া হওয়ার কথা ২-৫ টাকা সেখানে জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা। আসা- যাওয়ায় ২০ টাকা। দিনে দুবার আসা-যাওয়া করলে জনপ্রতি ৪০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
সন্তোষা গ্রামটি শাহজাদপুর উপজেলার মধ্যে হলেও উপজেলা শহরের দূরত্ব বেশি এবং বেড়া উপজেলা শহর নিকটবর্তী হওয়ায় বেড়ায় যাতায়াত বেশি ওই এলাকার মানুষের। এ কারণে দিনে ২/১ বার বেড়া যেতে হয়। এ সুজোগটি কাজে লাগিয়ে ইজারাদার মুকুল যাত্রীদের ওপর বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে যাত্রীদের বেকায়দায় ফেলেছেন।
এ ঘাট দিয়ে ছাত্রছাত্রী, ব্যাবসাী, চাকরিজীবী, সাধারণ মানুষসহ প্রতিদিন ৫শ থেকে প্রায় ১ হাজার লোকের যাতায়াত। মাত্র ১২ হাজার টাকার ঘাটে প্রতিদিন ৫-১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইজরাদার। প্রতিবাদ করলে পেটুয়া বাহিনী লেলিয়ে দেয় সাধারণ মানুষের পেছনে। ভয়ে অনেকেই মুখ খোলে না। প্রতি মঙ্গলবার ১০০ থেকে ২০০ গরু পার করতে হয় এ ঘাট দিয়ে। গরু প্রতি ৫০-১০০ টাকা নেয়া হয়।
এভাবে ১২ হাজার টাকা ইজরার ঘাটে বছরে ২০-৩০ লাখ টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
এ ঘাটে আগে ভাড়া ছিল ২ টাকা। পরে বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৫ টাকা। সেখানে বর্তমানে নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা।
এ বিষয়ে মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ার কারণে এ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছি। বাড়তি ভাড়া কেউ দেয় আবার কেউ দেয় না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়