হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ও রুলনিশি : গণপিটুনি রোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গণপিটুনিতে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা রোধে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, গণপিটুনির নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় মানুষ হত্যার লাইসেন্স দেয়া হবে সমাজের যেকোনো মানুষের জন্য আতঙ্ক ও অনিরাপত্তার কারণ। প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে না। দুটি নিরপরাধ শিশুকে (রেণুর সন্তান) মাতৃহারা করার শাস্তি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেণুকে (৪০) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার পর ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার শেষ না হওয়ার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গতকাল রবিবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন পর্যবেক্ষণ দেন।
এ সময় ন্যায়বিচার নিশ্চিতে এই মামলা চলাকালে সাক্ষীদের যথারীতি ও যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া ও তদারকির জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আদেশের এই অনুলিপি সংশ্লিষ্ট আদালত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করাতে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে স্থানীয় একটি স্কুলে যান রেণু। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযুক্ত ১৩ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ ৩ বছরেও শেষ হয়নি। বিচারকাজ শেষ না হওয়া নিয়ে প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আসে। এরপরই এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও রুল দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্ট আরো বলেন, ভিকটিম (রেণু) পালিয়ে যাচ্ছিলেন না। তার হেফাজতে কোনো শিশুকে পাওয়া যায়নি। সে সময় কোনো অভিভাবক সন্তান হারানোর অভিযোগ না করা সত্ত্বেও আসামিরা বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়। উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। তারা ভিকটিমকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে আনে। কোনো রকম অপরাধ না করা সত্ত্বেও তাকে বলপূর্বক আটক করে এবং আত্মরক্ষায় অক্ষম এ অসহায় মায়ের বাঁচার আকুতিকে উপেক্ষা করে তার শরীরে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে উপর্যুপরি এমনভাবে আঘাত করে, যার উদ্দেশ্য ছিল তার মৃত্যু নিশ্চিত করা। ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করার অভিন্ন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের প্রমাণ রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়