হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

সেমিনারে রাসিক মেয়র লিটন : রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার বৈশ্বিক ভাবমূর্তি : প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মিয়ানমারের ভেতরে যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা তাদের বিষয় হলেও আমাদের কথা বলতে হচ্ছে এই কারণে যে সেটি আমাদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমরা জানি, মিয়ানমার থেকে ১২ লাখ মানুষ বাংলাদেশে এসেছে, সেটি সংখ্যায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তারা বিয়ে করছে, তাদের সন্তান হচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাসানচরে চমৎকার পরিবেশে প্রায় ১ লাখ মানুষের থাকবার মতো করে ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন।
মেয়র আরো বলেন, উন্নত বিশ্ব বিশেষ করে ইতালি, গ্রিস অথবা ফ্রান্স-এসব দেশে যখন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে নানা দেশের মানুষ বিভিন্নভাবে চোরাই পথে প্রবেশ করতে যায়, তখন তারা হয় ডুবে মারা যায়, না হলে ধরা পড়ে যায়। ধরা পড়লে তাদের ওপর অবর্ণনীয় যন্ত্রণা-কষ্ট নেমে আসে। তাদের মতো উন্নত দেশও কিন্তু পাঁচশ, হাজার বা ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে চায় না, অস্বীকার করে। অথচ আমাদের দেশে প্রায় ১২ লাখ মানুষ চলে এসেছে, আরো বাড়ছে।
রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে উন্নত বিশ্বের বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড আমরা খুব একটা কার্যকর হতে দেখছি না। আমরা জানি, জাতিসংঘ কিছু তৎপরতা চালিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের যেখানে গেছেন, সেখানেই এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং সবাই বলেছেন, আমরা আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা চেষ্টা করবো, আমরা বলছি, আমরা চাপ সৃষ্টি করছি। কিন্তু এই পর্যন্ত কাউকে আমরা সেই রকম জায়গায় যেতে দেখিনি।
রাসিক মেয়র বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি তাই বলে। বঙ্গবন্ধু ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শক্রতা নয়’ এই বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিলেন। তাই আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। মিয়ানমার একটার পর একটা উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশের মাটিতে। একজন মারাই গেলেন, আরেকজনের পা উড়ে গেল।
গতকাল লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী বললেন, এতো উসকানির মধ্যেও বাংলাদেশ কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখেছে। বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না। মিয়ানমার কী আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে চায়? তারা কি এমন অবস্থা তৈরি করতে চায়? যাতে আমরা যুদ্ধ করতে বাধ্য হই। না কি এর মধ্যে কোনো পরাশক্তির ইন্ধন রয়েছে? নিশ্চয় এটি ভেবে দেখবার বিষয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক ও কলাম লেখক ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন। তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকট পাঁচ বছর পূর্ণ হয়ে ছয় বছরে পড়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন স্টেট থেকে নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা নিরাশ্রয় রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ এখন এক নিরাপদ আবাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপন্ন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে সোচ্চার কণ্ঠে নিজের মতামত ব্যক্ত করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়