হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

সীমান্তে এখনো গুলির শব্দ : তিনশ’ পরিবার সরিয়ে নেয়ার চিন্তা প্রশাসনের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) থেকে : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তিনশ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন তুমব্রু, ঘুমধুম, হেডম্যানপাড়া, ফাত্রা ঝিরি ও রেজু আমতলী এলাকায় বসবাসকারী এসব পরিবারের

প্রায় দেড় হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া যায় কিনা তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। ঘুমধুমের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, গতকাল রবিবার প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে বৈঠকে জানানো হয়, ঘুমধুম ইউনিয়নে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি কঠিন হয়ে যাবে। এছাড়া স্কুলগুলোতেও থাকার কোনো পরিবেশ নেই। এ পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। তবে সীমান্ত ঘেঁষে বসবাসকারী পরিবারগুলো এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এখনো সীমান্তের ওপার থেকে থেমে থেমে গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। রবিবার সকালের দিকেও বেশ কিছু গুলির আওয়াজ শোনা যায় বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। তুমব্রু জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি (সরদার) দিল মোহাম্মদ জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে গোলার আঘাতে ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা যুবক মারা যাওয়ার পর সেখানে থাকা পরিবারগুলো এখন আতঙ্ক, উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। নতুন করে আবার আক্রমণের শিকার হতে পারে এ আতঙ্কে রাতের বেলা অনেকেই নিরাপদ জায়গায় সরে থাকে। তবে শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে সীমান্ত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। টহলও বাড়িয়েছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকজন ছাড়া বহিরাগত লোকদের সীমান্ত এলাকায় যাতায়াত করতে দিচ্ছে না বিজিবি। সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্তের কারণে কাঁটাতার সংলগ্ন জমি ও পাহাড়ে কৃষকরাও ভয়ে যেতে পারছেন না। চাষ করা জমিগুলোতে পরিচর্যা করতে পারছেন না। গত এক মাস ধরে সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে সেখানকার কৃষক ও জুম চাষিরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার কোর কমিটির একটি জরুরি বৈঠক করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়