হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

রাবি শিক্ষক হত্যা মামলা : যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলীকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। গতকাল রবিবার তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর দ্বৈত বেঞ্চ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। এ ঘটনায় তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। প্রায় সাত মাস তদন্তের পর ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহীর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রেজাউস সাদিক। পরে ২০১৮ সালের ৮ মে এ মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ জনের যাবজ্জীবনের রায় দেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শরিফুল ইসলাম (পলাতক) ও মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী। পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পরে আসামিরা আপিল করেন। আপিল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় সাত্তার ও রিপন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। মামলার অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম হাসান ও তারেক হাসান ওরফে ওসমান এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী কোমলগান্ধার নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। সুন্দরম নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। এছাড়া সেতার বাদক হিসেবেও সুনাম ছিল তার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়