হাসপাতালে ভর্তি আরো ৩৮১ রোগী : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান মন্ত্রীর

আগের সংবাদ

মহা আড়ম্বরে সমাহিত মহারানি

পরের সংবাদ

প্রসূতিকে হাসপাতালে নিলেন ইউএনও : দৌলতপুর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : প্রসূতি নারীকে গভীর রাতে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন দৌলতপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। গত শনিবার রাত ১টা ৩০ মিনিটে উপজেলার আবুডাঙ্গা গ্রামের এক সন্তানের জননী রিমি আক্তার উপজেলা চত্বরে প্রসব বেদনায় কাঁদছিলেন। স্বজনরা কোথাও কোনো গাড়ি না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করবেন- ঠিক সেই সময় বিষয়টি দেখতে পান ইউএনও ইমরুল হাসান। তিনি তার সরকারি গাড়িতে নিজেই মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যান প্রসূতিকে এবং ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। এরপর নরমাল ডেলিভারি করানো হয় রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে। এরপর হাসপাতাল ত্যাগ করেন মানবিক ইউএনও।
এ বিষয়ে প্রসূতির স্বামী নাজমুল হোসেন বলেন, রাত দেড়টার দিকে আমার স্ত্রীকে দৌলতপুর উপজেলায় নিয়ে আসি মানিকগঞ্জ হাসপাতালে নেয়ার জন্য। কোনো গাড়িই পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ ইউএনও এসে আমার স্ত্রীকে তার গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে মানিকগঞ্জ মুন্নু হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং আমাকে সবদিক দিয়ে সহযোগিতা করেন। বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত তিনি হাসপাতালের বারান্দায় বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করেন। হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার সময় মোবাইল নম্বর দিয়ে কোনো সমস্যা হলে ফোন করতে বলেন। আমার স্ত্রীর একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। ওরা এখন দুজনেই ভালো আছে। ইউএনওর সঙ্গে থাকা পল্লী বি?দ?্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান আব্দুর রফিক জানান, গত শনিবার প্রসূতি রিমি প্রসব বেদনায় ছটফট করছিলেন। ঠিক সেই সময় নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে দেখা হয়। পরে তিনি ড্রাইভারকে খবর দিয়ে এনে নিজের মুন্নু মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
দৌলতপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শাহ আলম জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কয়েকদিন আগেও একজন রোগীকে মুন্নু হাসপাতালে নিয়ে গেছেন এবং কিছুদিন আগে রাত ১টায় অগ্নিকাণ্ড ঘটা একটি বাড়িতে গিয়ে চাল-ডাল, নগদ অর্থ, কম্বল দেন। এভাবে তিনি বহু মানুষকে উপকার করে মানবতার ফেরিওয়ালা পরিচিতি লাভ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান বলেন, রাত দেড়টার দিকে চত্বরের ভেতর পায়চারি করছিলাম। হঠাৎ আমার নজরে এলে আমি এগিয়ে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলি, কোনো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আমি ড্রাইভারকে নিয়ে দ্রুত মানিকগঞ্জ মুন্নু হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার বলল নরমাল ডেলিভারি সম্ভব। বাচ্চা প্রসবের পরেই আমি ওখান থেকে চলে আসি। একজন মানুষ হিসেবে আমার কাজটুকু করা প্রয়োজন মনে করায় আমি করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়